জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)‑র দেওয়া ২০২৫‑২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই‑সেপ্টেম্বর) সংক্রান্ত বিস্তারিতরাজস্বআদায়তথ্য দেওয়া হলো যেখানে সম্ভব হয়েছে ভ্যাট, আয়কর ও আমদানি/রপ্তানি খাতভিত্তিক ভাগ উল্লেখ করতে।
মূলতথ্য:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
২০২৫‑২৬ অর্থবছরের প্রথম রফতানিতে (জুলাই‑সেপ্টেম্বর) মোট আদায় হয়েছে ৳৯০,৮২৫কোটি। এই আয় গত বছরের একনায় সময়ে (২০২৪‑২৫ অর্থবছরের একই প্রথম তিন মাস) ছিল ৳৭৫,৫৫৪.৭৮কোটি। ফলে এক বছরে বৃদ্ধি হয়েছে ২০.২১%।
বিভাগভিত্তিকআয়:
প্রধান তিনটি খাত অনুযায়ী আয় ও বৃদ্ধি নিচে দেওয়া হলো:
শুধুমাত্র জুলাইমাসে আয় হয়েছে প্রায় ৳২৭,২৪৯কোটি।
ওই মাসে ভ্যাট থেকে আয় ~ ৳ ১১,৩৫২ কোটি, বৃদ্ধি ~ ৩২.৪৫%। আয়কর ও ভ্রমণকর থেকে ~ ৳ ৬,২৯৫ কোটি, বৃদ্ধি ~ ২১.৬৫%। আমদানি/রপ্তানি খাত থেকে ~ ৳ ৯,৬০২ কোটি, বৃদ্ধি ~ ১৭.৫২%।
জুলাই‑আগস্ট দুই মাসে (ইউনিয়ন হিসাবে) আয় হয়েছে ~ ৳ ৫৪,৪২৩ কোটি, যা পূর্ব বছরের একই সময়ে ~ ৳ ৪৫,০০৫ কোটি ছিল।
এই দুই মাসে টার্গেট ছিল ~ ৳ ৬১,০০০ কোটি হলেও আয় ~ ৳ ৬,৫৭৭ কোটি কম ছিল।
এই তথ্য অনুযায়ী, যদিও প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল, তবে টার্গেটপুরোপুরিঅর্জনকরাযায়নি।
বিশ্লেষণ ও মন্তব্য:
সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে দেশীয়ভ্যাট খাতে (~৩০%); এটি ইঙ্গিত দেয় অভ্যন্তরীণ বাজারে ভ্যাটযোগ্য কার্যক্রম বাড়ছে।
আয়কর/ভ্রমণকর খাতও ভালো বাড়ছে (~১৮%); তবে ভ্যাটের মতো তীব্র নয়।
আমদানি/রপ্তানি খাত সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে (~১১.7%) এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শুল্ক আয় ঘুরে ওঠার সংশ্লিষ্ট।
টার্গেটের দিক থেকে “উৎসাহী কিন্তু সতর্ক” বলা যায়: গত বছরের তুলনায় সাফল্য আছে, কিন্তু নির্ধারিত পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা এখনও ব্যাহত।
আয় বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে: কর নেট সম্প্রসারণ, করফাঁকি নিয়ন্ত্রণ, নিবন্ধন ও হিসাব‑পদ্ধতি উন্নয়ন।
Leave a Reply