আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ২৮ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এখনো যেসব গুমের শিকার ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি, তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য গুম কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
বিষয় ও দাবি কী:
“ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ২৮ জনের দ্রুত বিচার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুগান্তর সংবাদপত্র।
এখানে মূল দাবি হলো:
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ২৮ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং দ্রুত বিচার করতে হবে। গুম (লাপাত্তা) হওয়া ব্যক্তিদের এখনও খোঁজ মেলেনি তাদের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও তথ্য প্রদান করতে হবে। আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা যারা গুম, খুন বা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা গোপন গুম বা খুনের আলামত ধ্বংস করেছেন, তারা দোষীদের মধ্যে আনতে হবে।
- গুম কমিশন, ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন টিমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে। এই দাবিগুলো একটি মানববন্ধনে এবং একাধিক বক্তৃতায় তুলেছে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠিগুলো।
প্রেক্ষাপট ও কার্যক্রম:
এই দাবিটি উত্থাপন হয়েছে এমন প্রেক্ষাপটে, যেখানে:
- গত বছর (২০২৪) জুলাই–আগস্টে ঢাকা ও অন্যান্য এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়, এবং সেসময় পুলিশের গুলিতে নিহত ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের ঘটনা আলোচনায় এসেছে। সেই আন্দোলন ও নিহত-গুম ঘটনাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। “ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন” প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে — বিচার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে।
- বিচার দ্রুততর করার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দাবি করা হচ্ছে যে যেসব সেনা বা আইন-প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্ত, তাদের বিচার সেনানিবাসে নয়, “খোলা ট্রাইব্যুনালে” করতে হবে এবং সেই বিচারকে সরাসরি সম্প্রচার করার দাবি উঠেছে।
সীমাবদ্ধতা ও প্রশ্ন:
এই দাবি ও প্রক্রিয়ায় যেসব দৃষ্টিকোণ গুরুত্বপূর্ণ:
- আইনগত প্রক্রিয়া ও প্রমাণ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
- আসামীদের অবস্থান ও দণ্ডবিধি কেউ পলাতক হলে, তাদের দেশে ফেরানো ও গ্রেফতার করা বেশ জটিল হয়ে পড়তে পারে।
- ন্যায্য বিচার ও স্বচ্ছতা বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক চাপ বা জনমত থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
- দ্বৈত বিচার (Double jeopardy) একই ঘটনার জন্য একাধিক আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হলে আইনগত জটিলতা হতে পারে।
- আদালতের সক্ষমতা দ্রুত বিচার কার্যকর করতে পর্যাপ্ত বিচারক, পর্যবেক্ষক ও অবকাঠামোর প্রয়োজন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply