সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই আদেশ দেন।
অনুযায়ী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া এবং তাদের আয়কর (tax) নথি জব্দ সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে দেওয়া হলো:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
আদালতের আদেশ:
- একটি আদালত সম্প্রতি (৩০ নভেম্বর ২০২৫) আদেশ দিয়েছে যে মির্জা আজম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দ করা হবে।
- আদেশটি এসেছে, কারণ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা তদন্ত করছে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য “শুরু হতে সর্বশেষ পর্যন্ত” (i.e. প্রথম থেকে সর্বশেষ) তাদের আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র জব্দ করতে বলা হয়েছে।
- আদালত / দোষের প্রেক্ষাপট:
- আদালত: ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত, বিচারক: জনাব মো. সাব্বির ফয়েজ।
- কারণ: দুদকের করা আবেদন। আবেদনে উল্লেখ মির্জা আজম-দেওয়ান আলেয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন। নথি জব্দ করাই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জরুরি।
কি জব্দ হবে:
আদালত আদেশ দিয়েছে, তাদের “আয়কর নথি (income tax files / tax records)” অর্থাৎ আয়কর রিটার্নসমূহ এবং “স্থায়ী অংশ ও বিবিধ অংশসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র” জব্দ করার নির্দেশ।
প্রেক্ষাপট / প্রাসঙ্গিক:
- এই আদেশ এসেছে একই দিনে, যখন আদালত অন্য প্রাক্তন কর্মকর্তা-চক্রের (যেমন সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস) জন্যও আয়কর নথি জব্দের অনুমোদন দিয়েছে। যদিও নথি জব্দের নির্দেশ এসেছে, তবে এখনও প্রকাশিত কোনো খবর নেই যা দেখায়, নথিপত্রে কী পাওয়া গেছে, বা দুদক কি কোনো চূড়ান্ত দাবিদাওয়া করেছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে তথ্য শুধু “জব্দ ও পর্যালোচনা” পর্যায়ে।
সীমাবদ্ধতা:
- প্রেস রিলিজ বা সংবাদে এখনো বলা হয়নি, মির্জা আজম বা তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো নিষ্পত্তিকৃত দোষ প্রমাণিত হয়েছে কিনা।
- নথিপত্রে কী ধরনের তথ্য ছিল ব্যাংক লেনদেন, সম্পদ-দৃশ্য, আয়ের উত্স, আয়-ঘাটতি, বা অন্য কোনো আর্থিক হিসাব এই বিষয়ে সংবাদে কিছু বলা হয়নি।
- আদালত বা দুদকের ফাইল পাবলিক নয়; তাই দৃষ্টান্ত হিসেবে নথিপত্র পুরোপুরি পাওয়া যাবে কি না বা কবে পাওয়া যাবে, তা স্পষ্ট নয়।
মির্জা আজম সম্পর্কে:
মির্জা আজম জামালপুর-৩ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য। ২০২৫ সালের শুরুতে, তাঁর বাদেও ধানমণ্ডির একটি বাড়িতে অভিযান হয়েছে, যে বাড়িতে তিনি থাকতে পারেন বলে অভিযোগ ছিল; যদিও তখন কোনো নিশ্চিত ফল পাওয়া যায়নি।
যেমন জামালপুর-৩ থেকে নির্বাচিত, আওয়ামী লীগ নেতা তাঁর বিরুদ্ধে চালানো তদন্ত, এবং আয়কর নথি জব্দ সব মিলিয়ে বিষয়টি এখন নজরেই।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply