1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 5, 2025, 6:54 am

সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরা

  • Update Time : Saturday, September 27, 2025
  • 114 Time View

 “সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা” এবং “আইন‑শৃঙ্খলা উন্নয়ন” নিয়ে ব্যবসায়ীদের আশা ও প্রস্তাবসমূহ বিশ্লেষণ করা হলো । 

ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ চাহিদা:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন চেম্বার, ব্যবসায়ী সমিতি ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উঠেছে:

. ভ্যাট কর ব্যবস্থার জটিলতা হয়রানি:

  • অনেক ব্যবসায়ী বলেন, তারা কর দিতে চান, কিন্তু হিসাব-নিকাশ ও রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
  • অনানুষ্ঠানিক খাতকে (informal sector) যুক্ত করার জন্য “১ % মূসক” প্রস্তাব এসেছে, যাতে তারা সাপেক্ষিকভাবে স্বল্প বোঝায় কর দিতে পারে।
  • ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও অটোমেশন বৃদ্ধির আহ্বান এসেছে। যেমন, রিটার্ন দাখিলের জন্য মোবাইল অ্যাপ, পুরো রাজস্ব ব্যবস্থাকে ডিজিটালায়ন করা ইত্যাদি।
  • ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (EFDMs) অথবা E‑ফিসক্যাল প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে যাতে হিসাব ও ভ্যাট আদায় আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হয়।
  • . আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তার অবনতি:
  • ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁদাবাজি, পণ্য ছিনতাই, ট্রাক উধাও, অর্থপরিবহন ঝুঁকি, অনলাইন প্রতারণা ইত্যাদি বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা যদি না থাকে, ব্যবসায়িক পরিবেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, বিনিয়োগ আয় না বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অনেক সভায় দাবি করা হয়েছে, অপরাধ ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হোক, নৈশভ্রমণ ও পণ্য পরিবহণকে সুরক্ষা দেওয়া হোক। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর, সক্রিয় পুলিশি উপস্থিতি ও রুটিন টহল বাড়ানোর আহ্বান এসেছে।
  • ৩. অর্থনীতি ও রিসোর্স কর্তৃত চ্যালেঞ্জঃ
  • উচ্চ সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট, যানজট, আমদানি-রপ্তানির জটিলতা এসব বিষয়ও ব্যবসায়ের ব্যয় বাড়াচ্ছে, যা ভ্যাট ও আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নগুলোর পাশাপাশি আলোচ্য বিষয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা উৎপাদন চালাতে চান, কিন্তু অতিরিক্ত কর ও ঝামেলা তাঁদের উদ্দীপনায় বাধা দিচ্ছে। সরকারও বলেছে, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ঘটানো হবে ডিজিটাল পন্থায়।

ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চাওয়াগুলো:নিচে সংক্ষেপে সেই চাওয়াগুলো দেওয়া হলো যেগুলো তারা চান বাস্তবায়িত হোক:

শ্রেণিচাওয়া / প্রস্তাব
ভ্যাট করমূসক-হার যৌক্তিক করা (একক অঙ্কে), কর বোঝা কমানো
অনানুষ্ঠানিক খাতকে সম্মিলিতভাবে কর ব্যবস্থায় আনা
রিটার্ন দাখিল, নিবন্ধন প্রক্রিয়া সোজা ও দ্রুত করা
মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন রিটার্ন সিস্টেম
রাজস্ব ব্যবস্থার পুরোপুরি অটোমেশন
আইন নিরাপত্তাচাঁদাবাজি, প্রতারণা, ট্রাক ছিনতাই ইত্যাদির দ্রুত দমন
পুলিশের ও আইনপ্রয়োগকারীর সক্রিয় উপস্থিতি
অভিযোগ নিষ্পত্তির দ্রুত ও ন্যায্য ব্যবস্থা
পুলিশের টহল বাড়ানো ও নৈশ পরিবহন সুরক্ষা
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও জেলা, উপজেলায় সমন্বয় বাড়ানো
নির্ধারক পরিবেশনিচু সুদের ঋণ প্রদানের সুযোগ বৃদ্ধি
আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা
যানজট কমানো, অবকাঠামো উন্নয়ন
রাজস্ব আয় বাড়াতে কর ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি

বাস্তবিক বাধা ও চ্যালেঞ্জ:

যা চাওয়া হচ্ছে, সেটি সব সহজেই করা যাবে না  কারণ কিছু অন্তর্নিহিত বাধা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে:

  1. প্রযুক্তি অবকাঠামো ঘাটতি:
  2. অটোমেশন, অনলাইন রিটার্ন সিস্টেম ও ডেটাবেস ব্যবস্থাপনায় দক্ষ অবকাঠামো এবং রক্ষণাবেক্ষণ দরকার হবে।
  3. ক্ষমতাসম্পন্ন জনবল প্রশিক্ষণ:
    রাজস্ব বিভাগ, কর অফিস, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সবখাতে দক্ষ ও সতর্ক কর্মী এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
  4. দুর্নীতি হয়রানি:
    অনেক সময় মধ্যস্থতা, অনভিপ্রেত-পৃষ্ঠপোষকতা বা হয়রানি করা হয় এই সংস্কার রুখে দিতে হবে।
  5. আইনি প্রশাসনিক বাধা:
    আইন পরিবর্তন, ধারাবাহিক নীতি গ্রহণ ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রক্রিয়াগতভাবে সময় সাপেক্ষ।
  6. সম্পর্ক সমন্বয়ের অভাবঃ
    কেন্দ্রীয় প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় ভালো না হলে বাস্তবায়ন ধীর হয়।
  7. বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা:
    বৈশ্বিক উপাদান যেমন মুদ্রাস্ফীতি, চাহিদা-পূর্তির পরিবর্তন, জ্বালানির দাম এসব নিয়ন্ত্রণে নেই, ফলে ব্যবসার ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবেশ ধ্বংস হয়।

কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ ফলাফল:

গত কয়েক মাসে মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্লক রেইড ও অভিযানে চাঁদাবাজ গ্রেফতার করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা উন্নতির কিছু দিক দেখা গেছে। অনেক ছোট ব্যবসায়ী সম্প্রতি VAT রেজিস্ট্রেশনে এসেছে (৩৪ আগস্ট প্রতিবেদনে বলা হয় ছোটদের ৯৮% রেজিস্ট্রেশনে আনা হয়েছে)
ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, EFDMs চালু করা হয়েছে বেসরকারি অংশীদারীভাবে।– সরকারও বলেছে, ভ্যাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়ানো হবে ডিজিটাল পন্থায়।

সুপারিশ (যদি চান, আমি একটি প্রস্তাবনামূলক পরিকল্পনা দিই):

যদিও আপনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, নিচে একটি প্রাথমিক সুপারিশ দেওয়া হলো:

  1. ডিজিটাল রূপান্তর অটোমেশন:
    • রাজস্ব বিভাগ ও কর অফিসগুলোর মধ্যে অপারেশন অটোমেশন (এক প্ল্যাটফর্মে রিটার্ন, রেজিস্ট্রেশন, কর আদায়)
    • মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব পোর্টাল যেহেতু সহজে ব্যবহার করা যাবে, দ্রুত রিটার্ন দাখিল ও কর জমা দেয়ার সুযোগ হবে
    • ডেটা বিশ্লেষণ (data analytics) ও মনিটরিং সিস্টেম, অস্বাভাবিক লেনদেন চিহ্নিত করতে
  2. আইন প্রয়োগ নিরাপত্তা উন্নয়ন:
    • রাত্রিকালীন ও গুরুত্বপূর্ণ রুটে পুলিশের টহল ও সিকিউরিটি ডিটেল বাড়ানো
    • গডাউন, ট্রাক স্ট্যান্ড, বাজার এলাকা ও ফ্যাক্টরিতে সিসি ক্যামেরা ও মনিটরিং সিস্টেম
    • দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি আদালত বা ট্রাইব্যুনাল তৈরি (business complaint tribunal)
    • গোয়েন্দা শক্তি বৃদ্ধি ও স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের коммуникаশন বোর্ড
  3. প্রশিক্ষণ জনস্ববিরোধী মনোভাব পরিবর্তন:
    • করদাতা ও ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ
    • আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের দুর্নীতি-প্রতিরোধমূলক প্রশিক্ষণ
    • নাগরিক ও ব্যবসায়ী সচেতনতা প্রচার (করদানের নৈতিক দিক, অভিযোগ দাখিলের অধিকার ইত্যাদি)
  4. সংশ্লিষ্ট নীতি আইন সংস্কার:
    • প্রয়োজনীয় আইন পরিবর্তন যেমন কর আইন, ব্যবসায় আইন যাতে ব্যবসায়ী-বান্ধব হয়
    • কর হ্রাস (যেখানে সম্ভব) বা কর ছুটা প্রণোদনার ব্যবস্থা
    • অনানুষ্ঠানিক অর্থব্যবস্থাকে কর ব্যবস্থায় আনা সহজ করতে আইনগত কাঠামো
  5. সমন্বয় অংশীদারিত্ব:
    • কেন্দ্রীয়, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে নিয়মিত সভা
    • ব্যবসায়ী ইউনিয়ন, চেম্বার ও ট্রেড সংগঠনকে নীতি প্রস্তুতির অংশীদার করা
    • এক দ্রুত শাখা (task force) গঠন, যেখানে সমস্ত স্টেকহোল্ডার থাকবে
  6. পরীক্ষণ, মূল্যায়ন স্বচ্ছতা:
    • পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাইলস্টোন নির্ধারণ ও প্রতি অংশের অগ্রগতি প্রকাশ করা
    • উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রশাসনের মধ্যে জনসাধারণের ইনফরমেশন প্রকাশ (যেমন, কত অভিযোগ হল, কত নিষ্পত্তি হয়েছে)
    • স্বচ্ছতা বাড়াতে অনলাইন মনিটরিং ড্যাশবোর্ড করা যেতে পারে যেখানে সব তথ্য (কর আদায়, অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা সূচক) সাধারণ মানুষ দেখতে পারবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews