করযোগ্য আয় থাকার পরেও যাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁদের রিটার্ন দাখিলের সব সেবা প্রদান করতে ব্যবসাস্থলে উপস্থিত হতে যাচ্ছে কর অফিস। করজাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল এ কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।
এনবিআর কেন বাড়ি বাড়ি যাবে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে যে, এনবিআর এমন পরিকল্পনা করছে যেখানে করযোগ্য আয় থাকলেও যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না তাদের ক্ষেত্রে কর্মীরা সরাসরি মাঠে গিয়ে (ব্যবসা স্থানে বা বাড়িতে) রিটার্ন প্রদানের প্রক্রিয়া সহায়তা করবে। এই কার্যক্রম “স্পট অ্যাসেসমেন্ট” নামে উল্লেখ করা হচ্ছে। এবং বিশেষ করে:
- যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের কর অফিস থেকে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
- ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে কর সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই প্রচেষ্টা।
- কর অঞ্চলগুলো (জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে) এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কী ভিত্তিতে ও কীভাবে করদাতা শনাক্ত করা হবে:
এনবিআর কয়েকটি মাধ্যম ও ডেটাবেস ব্যবহার করছে করদাতা শনাক্তকরণ ও যাচাইয়ের জন্য:
- বিদ্যুৎ সংযোগ / বিদ্যুতের মিটার
যেমন, বাড়ি বা ফ্ল্যাট মালিকদের মিটার-আনুসারে শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ: “মিটার যিনি খোলা, তিনি বাড়িওয়ালা” এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
- বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (যেমন ডিপিডিসি) তথ্য বিনিময়
এনবিআর এবং ডিপিডিসি মাইক্রো-ডেটা বিনিময় করবে, যাতে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও বাড়িওয়ালার তথ্য মিলিয়ে করদাতা শনাক্ত করা যায়।
- গাড়ি নিবন্ধন, ব্যাংক হিসাব ইত্যাদি ডেটা ব্যবহার
গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংকে থাকা হিসাব এসবের তথ্যের সঙ্গে করদাতার টিআইএন (TIN) নম্বর সংযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেমন, গাড়ি নিবন্ধনের সময় টিআইএন দিতে হবে এবং তা এনবিআরের ডাটাবেসে যাচাই হবে।
- সম্পদ বিবরণী নিয়ম চালু করা
নতুন একটি নিয়মে, নির্দিষ্ট ধরণের করদাতাদের (যেমন যারা বড় সম্পদ বা ধন-সম্পত্তি আছে) তাদের সম্পদ বিবরণী (asset statement) দাখিল করতে বাধ্য করা হয়েছে।
কী সীমাবন্ধ ও চ্যালেঞ্জ আছে:
- গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা:
ব্যাংক তথ্য সরাসরি যাওয়া বা তথ্য বিনিময় নিয়ে গোপনীয়তা ও তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা আলোচনা হয়েছে।
- দুর্নীতি / হয়রানি ভীতি:
করদাতা বা সাধারণ জনমত মাঝে হয়রানি হওয়া বা অযাচিত তল্লাশির ভয় রয়েছে।
- তথ্য সঠিকতা ও মিল না থাকা:
একেকটি ডেটাবেসে তথ্য মিল নাও পারে যেমন একটি বাড়ির মিটার অন্য নামে থাকতে পারে।
- জটিলতা ও বোঝাপড়া:
কর আইন ও রিটার্ন ফরম অনেক সময় জটিল হয়, সাধারণ মানুষ তার ব্যাখ্যা বুঝতে পারেন না বা সাহায্য প্রয়োজন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply