সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, সরকার যদি কর কমাতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে রাজস্ব ঘাটতি এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে মানুষ কর বেশি দিলেও সে অনুপাতে সরকারি সেবা পায়, কিন্তু আমাদের দেশে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় সে সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনি রাজস্ব আদায় জোরদার করার আহ্বান জানান।
কর কমিয়ে দিলে কী কী ক্ষতি হতে পারে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
কর কমানো মানে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ কমে আসা। রাজস্ব হলে সরকার বিভিন্ন খাতে খরচ করে:
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন‑ভাতা
- স্কুল, হাসপাতাল, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
- সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণমূলক প্রোগ্রাম
- জাতীয় প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ইত্যাদি।
কর যদি কমিয়ে দেয়া হয় এবং অতিরিক্ত আয় (অন্য আয় বা কর‑নন‑কর রাজস্ব) থেকে সেই ঘাটতি পুরন না করা যায়, তাহলে হয়:
- সারাদেশে সরকারি খাতে অনুদান বা উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ পাওয়া কমে যাবে।
- খরচ কমাতে গিয়ে সরকারি কর্মচারীর বেতন‑ভাতা কমিয়ে আনা যেতে পারে, বা নিয়োগ বন্ধ করা যেতে পারে।
- সেবার মান কমে যেতে পারে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বেসিক অবকাঠামো আরও খারাপ হতে পারে।
- ঋণ নিতে পারেন সরকার, আর ঋণ বেশি হলে সুদের বোঝা বাড়বে, যা ভবিষ্যতে সরকারের আর্থিক সক্ষমতা কমিয়ে দেবে।
কি কি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে:
- করযোগ্য আয় ও কর অব্যাহতির নীতি: যদি সরকার বেশি কর অব্যাহতি দেয়, অর্থাৎ অনেক আয়কে করমুক্ত করে, তাহলে কর‑ভিত্তিক রাজস্ব হার কমে যাবে।
- বাজেট ঘাটতি: রাজস্ব কমে গেলে বাজেট ঘাটতি তৈরি হবে; সরকার হয় ঋণ নেবে, হয় খরচ কমাবে।
- ব্যবস্থাপনা দক্ষতা: রাজস্ব কমিয়ে দিলে সেবার মান বজায় রাখা ও অপচয় কম করা প্রয়োজন। যদি খরচ বাড়িয়ে দেয়া হয় বা দুর্নীতি থাকে, তাহলে বেতন‑ভাতা বন্ধ নয়, কিন্তু অন্য খাতে ক্ষতি হবে বেশি।
কি সম্ভবনা ও বাস্তবতা:
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তাত্ত্বিকভাবে খুব জটিল হবে এবং বরাবরই অবশেষে করা কঠিন হবে কারণ এটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতভাবে বড় রিস্ক।
- সরকারের কর নেয়া ও রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য নানা প্রণোদনা কমানোর প্রস্তাব এসেছে; ভাতা‑কর অব্যাহতি পুনর্বিবেচনার কথাও উঠেছে।
- তবে “বেতন‑ভাতা মিলবে না” হচ্ছে কথাটি একটি অবাঞ্ছিত সম্ভাবনা বা সতর্কতা হিসেবে বলা হয়েছে, একধরনের সতর্কবাণী, যাতে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবা যায় কি কি পরিণতি হতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply