“সরকারি বন্ডে কোম্পানির মুনাফায় উৎসে কর বাড়ল” বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো:

আইন ও ধারা
কারন ও উদ্দেশ্য:
সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, এবং উৎসে কর (withholding tax) দ্রুত রাজস্ব সংগ্রহের একটি উপায়। বাজেটে শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সরকারি বন্ড/ঋণ‑সিকিউরিটিজে সুদের ওপর কর বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর বোঝা বাড়ছে।
কোম্পানির দৃষ্টিকোণ থেকে প্রভাব:
অনেক কোম্পানি সরকারি সিকিউরিটি বা বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে (ট্রেজারি বন্ড/বিল, সরকারি অর্থায়ন‑সিকিউরিটি ইত্যাদিতে)। সুদের আয়ের ওপর এই উৎসে কর বাড়ালে কোম্পানির জন্য কি পরিবর্তন হবে:
| বিষয় | পুরাতন অবস্থান | নতুন অবস্থা | কোন প্রভাব পড়বে |
| সুদের ওপর নেট আয় | সুদের আয় − ৫% উৎসে কর করে নেট আয় পেত | সুদের আয় − ১০% উৎসে কর করণ হবে | নেট রিটার্ন কমে যাবে, অর্থাৎ নগদ প্রবাহ (cash flow) কিছুটা ছোট হবে |
| আয়কর হিসাব করার সময় | উৎসে কর একটি পার্শিয়াল পেমেন্ট/ডিডাকশন হবে | উৎসে কর আকারে বেশি টাকা কেটে নেওয়া হবে | করদাতার মাত্রায় করের পরিমাণ এবং দায়বদ্ধতা পরিবর্তিত হবে |
| বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত | সুদের ওপর কর কম থাকায় সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় ছিল | কর বাড়ায় বিনিয়োগে আকর্ষণ কম হতে পারে, অন্য বিকল্প যেমন ব্যাংক ডিপোজিট, বা অন্যান্য সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের দিকে ঝোঁক বাড়তে পারে | |
| বাজেট ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা | পূর্বে সুদের সময় সূচি ও কর‑নির্ধারণে তথ্য অনুযায়ী আগাম আয় নির্ধারণ করা যেত | নতুন করহার বিবেচনায় সুদের আয়ের প্রকৃত নেট রিটার্ন হিসাব করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হবে; বাজেট ও আয়‑ব্যয়ের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে |
কীভাবে কোম্পানিগুলো প্রস্তুতি নেবে:
কোম্পানিগুলো নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে পারে:
Leave a Reply