আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য সরেজমিন তদন্ত করা হবে : এনবিআর
Update Time :
Saturday, September 20, 2025
139 Time View
এনবিআর‑এর “আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য সরেজমিন তদন্ত” করা হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর। করদাতা যাতে তাদের আয়, ব্যয় ও সম্পদের সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় এবং তথ্য গোপন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
রিটার্ননাদিলেনোটিশওতদন্ত:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) আহ্বান করেছে যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না বিশেষ করে যারা ই‑টিআইএন থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন দিচ্ছেন না তাদেরকে নোটিশ পাঠিয়ে, আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য সরেজমিন তদন্ত করা হবে। অর্থাৎ, রিটার্ন ফাইল করা না হলে এনবিআর কমিশন (কর কমিশনার) রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করার নির্দেশ পাবে।
গোয়েন্দাকার্যক্রমবাড়ানোহবে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
কর ফাঁকি উদঘাটন এবং রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর অঞ্চলগুলোতে গোয়েন্দা ও তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার পরিকল্পনা আছে।
মনিটরিং বিভাগের সদস্য ও কর কমিশনারদের নিয়মিত ভিত্তিতে অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে।
আয়েরউৎসওসম্পদেরমিলআছেকিনাখতিয়েদেখবে:
রিটার্নে দেখানো আয়ের সঙ্গে ব্যক্তির ব্যয় ও মালিকানাধীন সম্পদের পরিমাণ ও উৎস মিল রয়েছে কি না, তারা যাচাই করবে। তবে যদি রিটার্নে গরমিল পাওয়া যায় বা তথ্য গোপন করা হয়, তাহলে “আইন অনুযায়ী” ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রার্থী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের অনুসন্ধান বাড়ানো হচ্ছে।
দুর্নীতিদমনকমিশনের (দুদক) সম্পৃক্তি:
দুদক ইতিমধ্যেই এনবিআর‑এর কর্মকর্তাদের সম্পদের বিবরণী চেয়েছে, যেখানে তাদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আছে।
এনবিআর‑এর সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (CIC) ও অন্যান্য গোয়েন্দা ইউনিট গোপন অনুসন্ধান করছে রিটার্ন‑ফাইলে দেখানো তথ্য ও বাস্তব আয়‑ব্যয়‑সম্পদের তুলনায় পার্থক্য আছে কি না।
প্রক্রিয়াওসময়সীমা:
এই ধরনের তদন্ত ও তদারকি কার্যক্রম নিয়মিত সভা ও মনিটরিং সাপেক্ষে হবে, এবং রিটার্ন প্রসেসিং, অডিট মামলা নিষ্পত্তি ও কর সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ তদারকি করা হবে। তবে স্পষ্টভাবে কত‑দিনের মধ্যে বা কোন ধাপে পরীক্ষা হবে, সেটি সাংবাদিক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে নির্দিষ্ট করা হয়নি।
তথ্যপাওয়াওমিলানো: অনেক সময় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিলেও আয়‑ব্যয়‑সম্পদের তথ্য স্পষ্টভাবে দেওয়া হয় না বা আংশিক দেওয়া হয়। এতে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়।
গোপনসম্পদওআয়: এমন সম্পদ যাদের আইনত ঘোষণা করা হয়নি, বা যা আয়ের উৎস স্পষ্ট নয় এগুলো শনাক্ত করা সবচেয়ে জটিল।
আইনিবাধ্যবাধকতাওজবাবদিহিতা: যদি রিটার্নে ভুল বা গোপন তথ্য পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে যেমন কর আরোপ, জরিমানা, মামলা হতে পারে।
প্রশাসনিকসক্ষমতা: এনবিআর‑এর গোয়েন্দা, অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, ফলো‑আপ সিস্টেম ইত্যাদির সক্ষমতা থাকতে হবে, যাতে তদন্ত সুষ্ঠু এবং সময়মতো হয়।
Leave a Reply