1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 5, 2025, 6:54 am

২০২৭ সালের জুনের পর ‘করছাড়’ থাকবে না

  • Update Time : Thursday, September 18, 2025
  • 162 Time View

“২০২৭ সালের জুনের পর করছাড় থাকবে না” সংক্রান্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণসহ তুলে ধরা হলো:

  1. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) একটি “মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল” (Medium & Long‑Term Revenue Strategy, MLTRS) গ্রহন করেছে, যার অংশ হিসেবে শুল্ক‑কর বিষয়ক সব ধরনের কর ছাড় ধাপে ধাপে যৌক্তিক হারে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
  2. ২০২৭ সালের জুনের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর (উৎস থেকে বোঝা যাচ্ছে অর্থাৎ ২০২৭ সালের জুনের মাঝামাঝি) বিজ্ঞপ্তিভিত্তিক করছাড় (notification‑based exemptions) থাকবে না বা খুবই সীমিত থাকবে। আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠিত বা আইন অনুযায়ী যে করছাড় আছে সেগুলো কিছুটা থাকবে, তবে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ছাড় তুলে নেওয়া হবে।
  3. ছাড়ের পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য পাঁচটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে:
    • খাতভিত্তিক করছাড়ের পরিমাণ নিরূপণ করা হবে
    • যোগ্য যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা হবে
    • অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে যাতে করছাড়ের প্রভাব ও প্রয়োজনে বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়
    • কর আদায় ব্যবস্থায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে (কার্যকরী আইন/framework)
    • ধাপে ধাপে ভ্যাট ছাড় এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রত্যাহার করা হবে
    •  
  4. কর/GDP অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্য ধরা আছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে কর ও GDP অনুপাত সাড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
  5. NBR-এর নতুন নীতি অনুসারে: করছাড় যা ছাড়ের মেয়াদবিহীন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সর্বোচ্চ
  6.  পাঁচ বছরের মেয়াদে সীমাবদ্ধ হবে।
  • আইন অনুযায়ী স্থায়ী করছাড় বা করপ্রণোদনা (যেমন কর‑ছাড় একটি আইন দ্বারা প্রণীত হয়)  সেগুলো কিছুটা থাকতে পারে। তবে নতুন বা প্রজ্ঞাপন‑ভিত্তিক সুবিধা সবই প্রায় তুলে দেওয়া হবে।
  • ভ্যাট ছাড় খুব দ্রুত প্রত্যাহার হবে বলছে তথ্যসমূহ।
  • শুল্ককর ছাড় (customs duty, import duty) এবং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেওয়া অন্য সুবিধাদিরাও ধাপে ধাপে কমবে/বাতিল হবে।
  • আর্থিক স্বচ্ছতা ন্যায্য কর ব্যবস্থা গঠনের জন্য। ছাড় সুবিধাগুলো অধিকাংশ সময় প্রভাবশালী বা বড়‑খাতের জন্য disproportionately বেশি হয়।
  • রাজস্ব ঘাটতি কমানো এবং বাজেটের ওপর নির্ভরযোগ্য রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজন। আইএমএফ এর ঋণ সহায়তার শর্ত। দেশের বিদেশী ঋণসহায়তা ও অর্থনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসাবে করছাড় হ্রাস করতে বলা হয়েছে।
  • ব্যবসা ও পণ্যগুলোর ব্যয় বাড়তে পারে, বিশেষত তাদের জন্য যারা করছাড় পায়।
  • ভ্যাট‑সহ মূল্য বাড়া সম্ভব, যার ফলে সাধারণ ভোক্তাদের উপর ও মধ্যবিত্তদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
  • কিছু শিল্প বা খাতগুলোতে উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে যা প্রতিযোগিতায় তাদের পিছিয়ে দিতে পারে।
  • রাষ্ট্রের বাজেটে রাজস্ব বৃদ্ধি পেতে পারে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কর নীতি আরও সুষ্ঠু ও নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে করদাতাদের জন্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews