“পরিপত্র অনুসারে” এজমালি (অবিভক্ত যৌথ মালিকানাধীন) সম্পত্তি ভাগাভাগি ও নামজারি করার পদ্ধতি কি হবে স্পষ্টভাবে ধাপে ধাপে:
সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনসমূহের সারমর্ম:
বণ্টননামা দলিল ছাড়া নামজারি করা যাবে:
মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমি বা স্থাবর সম্পত্তি যদি ওয়ারিশগণ চান, তাহলে তারা বণ্টননামা দলিল ছাড়াই ওয়ারিশ সনদের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।
নতুন পদ্ধতির ধাপসমূহ:
নিচে ধাপে ধাপে পুরো পদ্ধতি দেওয়া হলো, যাতে বুঝতে সহজ হয় কি কি করতে হবে, কি কাগজ লাগবে, কোন অফিসে যেতে হবে:
ধাপ | ক্রিয়া | কি কাগজ লাগবে / কি প্রমাণ দেবে |
১. প্রস্তুতি | ওয়ারিশগণ একত্রে সিদ্ধান্ত নেবে তারা কি চান বণ্টননামা করে পৃথক অংশ নেবে, নাকি শুধু ওয়ারিশ সনদ দিয়ে যৌথ খতিয়ানে নামজারি করবে। | মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ওয়ারিশদের, ওয়ারিশ সনদ (স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান / পৌর মেয়র / ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক) |
২. ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ | প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা / সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড অফিস থেকে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করা হবে। এটি মৃত ব্যক্তি ও তার উত্তরাধিকারীদের সম্পর্ক প্রমাণ করে। | প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র, মৃত ব্যক্তির বিভিন্ন দলিল (যদি থাকে), জন্ম ও মৃত্যু সনদ ইত্যাদি |
৩. আবেদন দাখিল | ভূমি অফিস (এসি‐ভূমি)‑এ নামজারি বা রেকর্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। যদি প্রতিবাদ বা পার্টির কেউ চান পৃথক খতিয়ান বা বিক্রি করার উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে আপোষ বণ্টননামা দলিল তৈরি করতে হবে ও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। | আবেদন ফরম, ওয়ারিশ সনদ, মৃতের মৃত্যু সনদ, পূর্বের খতিয়ান কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, যদি বণ্টননামা হয় তাহলে বণ্টননামা দলিল ও রেজিস্ট্রেশন রসিদ ইত্যাদি। |
৪. খতিয়ান প্রস্তুত | আবেদন পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি যৌথ খতিয়ান তৈরি করবেন যেখানে মৃত ব্যক্তির মোট জমি উল্লেখ থাকবে ও প্রত্যেক ওয়ারিশের প্রাপ্য অংশ নির্ধারণ থাকবে (যদি যৌথ নামজারি হয়)। | ভূমি অফিসের খতিয়ান রেকর্ড, খতিয়ান সংশোধনীর সম্ভাব্য খরচ ও ফি ইত্যাদি। |
৫. নামজারি / সংশোধন বাস্তবায়ন | খতিয়ান তৈরি হলে নতুন নামজারি / রেকর্ড সংশোধন বাস্তবায়ন হবে; যদি বণ্টননামা দলিল করা হয়, অংশবিশেষ নামজারি হবে সেই অনুযায়ী। | মালিকানা পরিবর্তন রেকর্ড, নতুন দলিল রেজিস্ট্রেশন যদি প্রয়োজন হয়, খরচ ও ফি পরিশোধ। |
৬. বিক্রয় বা স্থানান্তর (যদি প্রযোজ্য) | যদি ওয়ারিশরা বিক্রি করতে চান বা অংশ হস্তান্তর করতে চান, তখন অবশ্যই প্রমাণ থাকবে যে তারা ঠিক সেই অংশের মালিক। বণ্টননামা দলিল থাকলে কাজ সহজ হয়। | বিক্রয় দলিল (sale deed), রেজিস্ট্রি দলিল, নতুন ওয়ারিশ ও ক্রেতার পরিচয়পত্র, NID ইত্যাদি, ওয়েব‐রেজিস্ট্রি ফি ও অন্যান্য কর/ট্যাক্স পরিশোধ। |
কিছু বিষয় যা খেয়াল রাখতে হবে:
Leave a Reply