২১আগস্ট২০২৫ (২১.০৮.২৫) তারিখে বাংলাদেশের রাজস্বপ্রশাসনেকাঠামোগতপরিবর্তন সম্পর্কিত বিস্তারিত নিম্নে তুলে ধরা হলো:
প্রধানপরিকল্পনাওপরিবর্তনেরসারমর্ম:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
রাজস্বপ্রশাসনেদুটিপৃথকবিভাগগঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে:
‘রাজস্বনীতিবিভাগ’ (Revenue Policy Division)
‘রাজস্বপ্রশাসনবিভাগ’ (Revenue Management Division) এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য—নীতিগত পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক বাস্তবায়নের মধ্যে দ্বৈত কাঠামো তৈরি করা।
এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ‘রাজস্বনীতিওরাজস্বব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারী করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করতে উপদেষ্টা পরিষদের পাঁচ দফা মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বেসিসে অধ্যাদেশের কিছু ধারা পরিমার্জন করে চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভাউপকমিটি ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে, এবং ইন্টার–মন্ত্রনালয়সভায়মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশেরমূলপ্রস্তাবসমূহ:
১. সংবিধান৫৫(৬) অনুচ্ছেদঅনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে একটি মন্ত্রণালয়কে একাধিক বিভাগে ভাগ করতে পারবেন। ২. উচ্চপর্যায়েরআন্তঃমন্ত্রণালয়কমিটি গঠন করা হবে, যেটি নীতি কার্যকারিতা পর্যালোচনা ও তদারকিতে দায়িত্বশীল থাকবে। ৩. বাংলাদেশসিভিলসার্ভিস (অর্থ: শুল্কওআবগারি) বিধিমালা, ১৯৮০অনুযায়ী নতুন বিধি ও কাঠামো প্রণয়ন করা হবে ৪. সরকারি সম্পদের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে নিরীক্ষাএবংপ্রতিবেদনবিনিয়োগবাধ্যতামূলক করা হবে; প্রতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
৫. নতুন কাঠামোয় দুইসচিবনিয়োগ করার প্রস্তাব রয়েছে।
কেনএইপরিবর্তনেরপ্রয়োজনদেখাদিয়েছে?
এর আগে জাতীয়রাজস্ববোর্ড (NBR) একই প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব নীতি, সংগ্রহ ও প্রশাসন তিনটি দায়িত্ব একসাথে পরিচালনা করত। এতে:
নীতিনির্ধারণওবাস্তবায়নেরমধ্যেস্বার্থসংঘাত সৃষ্টি হতো।
কর-আয় উপার্জন এবং কার্যকারিতা যাচাইয়ের মধ্যে স্বচ্ছতাওজবাবদিহিতারঅভাব ছিল।
করফাঁকিদাতাদেরবিরুদ্ধেকার্যকরপদক্ষেপেগাফিলতি হতো।
কর্মদক্ষতা মাপার জন্য ওবজেকটিভসূচকেরঅভাব ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে বাংলাদেশের কর‑জিডিপিঅনুপাতমাত্র৭.৪%, যা এশিয়ার মধ্যে একাধিক দেশের তুলনায় অনেক কম; বৈশ্বিক গড় প্রায় ১৬.৬% ।
সরকার মনে করে, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পৃথক হলে:
এই কাঠামোগত পরিবর্তন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে আসছে একটি উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ হিসেবে, যেখানে স্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত রেখে নীতিওবাস্তবায়ন উভয়ের দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা লক্ষ্য।
Leave a Reply