1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
September 15, 2025, 10:59 am

রাজস্ব প্রশাসনে আসছে কাঠামোগত পরিবর্তন

  • Update Time : Thursday, August 21, 2025
  • 105 Time View

২১ আগস্ট ২০২৫ (২১.০৮.২৫) তারিখে বাংলাদেশের রাজস্ব প্রশাসনে কাঠামোগত পরিবর্তন সম্পর্কিত বিস্তারিত নিম্নে তুলে ধরা হলো:

প্রধান পরিকল্পনা পরিবর্তনের সারমর্ম:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
  • রাজস্ব প্রশাসনে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে:
    • রাজস্ব নীতি বিভাগ (Revenue Policy Division)
    • রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ (Revenue Management Division)
      এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য—নীতিগত পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক বাস্তবায়নের মধ্যে দ্বৈত কাঠামো তৈরি করা।
  • এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব নীতি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারী করা হয়েছে।
  • অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করতে উপদেষ্টা পরিষদের পাঁচ দফা মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বেসিসে অধ্যাদেশের কিছু ধারা পরিমার্জন করে চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
  • মন্ত্রিসভা উপকমিটি ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে, এবং ইন্টারমন্ত্রনালয় সভায় মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশের মূল প্রস্তাবসমূহ:

১. সংবিধান ৫৫() অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে একটি মন্ত্রণালয়কে একাধিক বিভাগে ভাগ করতে পারবেন।
২. উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হবে, যেটি নীতি কার্যকারিতা পর্যালোচনা ও তদারকিতে দায়িত্বশীল থাকবে।
৩. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (অর্থ: শুল্ক আবগারি) বিধিমালা, ১৯৮০ অনুযায়ী নতুন বিধি ও কাঠামো প্রণয়ন করা হবে
৪. সরকারি সম্পদের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে নিরীক্ষা এবং প্রতিবেদন বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হবে; প্রতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

৫. নতুন কাঠামোয় দুই সচিব নিয়োগ করার প্রস্তাব রয়েছে।

কেন এই পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে?

  • এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) একই প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব নীতি, সংগ্রহ ও প্রশাসন তিনটি দায়িত্ব একসাথে পরিচালনা করত। এতে:
    • নীতি নির্ধারণ বাস্তবায়নের মধ্যে স্বার্থ সংঘাত সৃষ্টি হতো।
    • কর-আয় উপার্জন এবং কার্যকারিতা যাচাইয়ের মধ্যে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার অভাব ছিল।
    • কর ফাঁকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপে গাফিলতি হতো।
    • কর্মদক্ষতা মাপার জন্য ওবজেকটিভ সূচকের অভাব ছিল।
  • উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে বাংলাদেশের করজিডিপি অনুপাত মাত্র .%, যা এশিয়ার মধ্যে একাধিক দেশের তুলনায় অনেক কম; বৈশ্বিক গড় প্রায় ১৬.৬% ।
  • সরকার মনে করে, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পৃথক হলে:
    • দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে
    • স্বার্থ সংঘাত হ্রাস পাবে
    • করআয় সম্প্রসারণে সহায়ক হবে
    • সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।

সামগ্রিকভাবে কী বোঝা যায়?

এই কাঠামোগত পরিবর্তন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে আসছে একটি উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ হিসেবে, যেখানে স্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত রেখে নীতি বাস্তবায়ন উভয়ের দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা লক্ষ্য।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews