কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি: এনবিআর কর্মকর্তার
Update Time :
Tuesday, August 19, 2025
115 Time View
১৯ আগস্ট ২০২৫-এর প্রতিবেদনের মাধ্যমে “কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি” কাণ্ড সম্পর্কিত বিস্তারিত তুলে দেওয়া হলো:
কীঘটেছে?
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কর্মকর্তার মাধ্যমে করা শুল্ক ফাঁকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ডিসেম্বার থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট প্রায়৪৫০টন “কৃত্রিমঅঙ্গ–প্রত্যঙ্গ” আমদানি দেখানো হয়েছে যদিও তা বাস্তবেছিলগয়না (জুয়েলারি) পণ্য ।
করফাঁকিরকৌশল:
নির্বাচিতশুল্ক: কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হিসেবে শুল্ক মাত্র প্রতিটন ₹৩,০০০, কিন্তু গয়নার ক্ষেত্রে এটি প্রতিটন ₹৩০০,০০০ হওয়া উচিৎ ছিল—ফলস্বরূপ সরকারপ্রায়১৩কোটিটাকারাজস্বহারিয়েছে ।
জড়িতব্যক্তিওসময়কাল:
মো. মাহমুদুলহাসান, যিনি তখন সোনামসজিদ স্থলবন্দর (শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এ যুগ্ম কমিশনার ছিলেন, এই অনিয়মের বিষয়ে প্রধান সহাগামী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে ।
বিভিন্ন তারিখে বিভক্তভাবে আমদানি দেখানো হয়েছে:
২০১৫ সালের ৫/১২/১৩/৩১ ডিসেম্বর,
২০১৬ সালের ২১ ও ১৯ জানুয়ারি,
১০ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কর ফাঁকির ওই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদন্ত হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ঘটা আন্দোলন ও দ্বন্দ্বের জেরে তা আবার সামনে এসেছে। রাজস্ব ফাঁকির এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বর্তমানে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) কমিশনার পদে কর্মরত।
অনুসন্ধানওফলাফল:
প্রমাণওপ্রতিবেদন: দীর্ঘদিন ফাইলচাপা থাকা এই প্রতিবেদন সম্প্রতি এনবিআরের আন্দোলন এবং দ্বন্দ্বের কারণে পুনরায় উঠে এসেছে ।
কার্যকরব্যবস্থা: অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে, এবং কয়েকজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে ।
সারসংক্ষেপ:
বিষয়
বিস্তারিত
পণ্য
“কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ” ঘোষণা করে আমদানি, আসলে গয়না
মোটপরিমাণ
প্রায় ৪৫০টন
ঢিলাশুল্ক (অনুমান)
প্রতি টন ₹৩,০০০ (কৃত্রিম অঙ্গ হিসেবে) vs ₹৩০০,০০০ (সঠিক গয়না হিসেব)
রাজস্বক্ষতি
প্রায় ১৩কোটিটাকা
জড়িতকর্মকর্তা
মো. মাহমুদুল হাসান (সোনামসজিদ স্থলবন্দর)
সময়কাল
ডিসেম্বর ২০১৫ – এপ্রিল ২০১৬
প্রক্রিয়া
আমদানি বিল বিভক্ত, মিথ্যা ঘোষণা, কম শুল্ক প্রদানের মাধ্যমে কর ফাঁকি
তদন্তওব্যবস্থা
প্রতিবেদন তৈরি; নথিতে অস্বাভাবিকতার ইঙ্গিত; তদন্ত ও সাময়িক বরখাস্ত ●
এ রিপোর্টটি ১৯আগস্ট২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে, এবং এতে চারদিনআগে (১৫ আগস্ট ২০২৫ থেকে) পুলিশের কিছু পদক্ষেপ ও এনবিআরে চলমান অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটও উল্লেখ রয়েছে।
Leave a Reply