১৮ আগস্ট ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় জীবনযাপনের ৯টি প্রধান তথ্য যেগুলো সরকারকে জানানো বাধ্যতামূলক, সেগুলোর বিস্তারিত । এগুলো আয়কর আইন ও সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলীর ভিত্তিতে প্রযোজ্য:
আয়কররিটার্নেজীবনযাপনের৯টিতথ্য:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
১. বাসস্থানসম্পর্কিততথ্য:
আপনি নিজে কি বাড়ির মালিক? বাড়ির মূল্য ও স্থাপত্যের বিবরণ।
ভাড়া থাকলে মাসিক ভাড়ার পরিমাণ।
বাড়ির অবস্থান (শহর, গ্রাম ইত্যাদি)।
বাড়ির ধরন (আবাসিক, বাণিজ্যিক)।
২. গাড়িওঅন্যান্যযানবাহনেরতথ্য:
গাড়ির সংখ্যা, ব্র্যান্ড, মডেল ও ক্রয় মূল্য।
গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
গাড়ি ভাড়া বা লিজে থাকলে তার বিবরণ।
৩. ব্যাংকহিসাবওআর্থিকলেনদেন:
ব্যাংকে কতগুলো হিসাব আছে (চেকিং, সেভিংস, ফিক্সড ডিপোজিট)।
বছরে মোট জমা এবং উত্তোলনের পরিমাণ।
ব্যাংক লেনদেনের খতিয়ান।
৪. বিনিয়োগএবংসম্পত্তি:
জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান বা অন্য সম্পত্তির মালিকানা ও মূল্য।
ব্যবসায়িক বা পেশাগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগের তথ্য।
শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের বিবরণ।
৫. বীমাপলিসিরবিবরণ:
জীবনবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, অটোবীমা বা অন্যান্য বীমা।
পলিসির নাম, কভারেজ পরিমাণ এবং প্রিমিয়ামের পরিমাণ।
বীমার মেয়াদ ও বর্তমান অবস্থা।
৬. ঋণওদায়:
ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি বা অন্যত্র নেওয়া ঋণের পরিমাণ ও সময়সীমা।
ঋণের ধরন (পার্সনাল, ব্যবসায়িক, গৃহঋণ ইত্যাদি)।
বছরে ঋণ পরিশোধের বিবরণ।
৭. ব্যক্তিগতব্যয়:
শিক্ষাব্যয় (নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য)।
চিকিৎসা ব্যয়, বিশেষ করে বড় অপারেশন বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা।
ভ্রমণ ও বিনোদন ব্যয় (দেশ-বিদেশ)।
৮. বিদেশেআয়ওসম্পদ:
বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় (বেতন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ)।
বিদেশে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সম্পত্তি বা অন্যান্য আর্থিক সম্পদ।
বিদেশী আয়ের উৎস ও পরিমাণ।
৯. পরিবারওঅন্যান্যসামাজিকদায়িত্ব:
পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাদের আর্থিক নির্ভরতা।
দাতব্য ও সমাজসেবা কার্যক্রমে ব্যয়।
অন্যান্য সামাজিক দায়বদ্ধতা (ঋণ দান, গৃহ নির্মাণে সহযোগিতা ইত্যাদি)।
কেনএইতথ্যগুলোদরকার?
আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার আর্থিক অবস্থার সত্যায়ন।
যেকোনো অবৈধ আয়ের উৎস চিহ্নিতকরণ।
করের সঠিক হার নির্ধারণ।
আর্থিক স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা।
অতিরিক্ততথ্য:
এই তথ্যগুলো সঠিক ও প্রমাণসহ জমা দিতে হয়।
ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
আধুনিক সময়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে এই তথ্যগুলো পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
Leave a Reply