সঞ্চয়পত্র (NSC – National Savings Certificate) একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম, যেটি মূলত নিরাপদ ও স্থিতিশীল রিটার্নের জন্য পরিচিত। সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে যে:
১০ লাখ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র কিনলে এখন আর আয়কর রিটার্নের (ITR) কাগজ দেখাতে হবে না।
মধ্যবিত্তের কথা চিন্তা করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়েছে সরকার। জুনে ঘোষিত বাজেটে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়মে সুবিধা কী হলো?
১. সহজে বিনিয়োগ করা যাবে:
আগে ১ টাকা বিনিয়োগ করলেও রিটার্নের কাগজ দিতে হতো। অনেক সাধারণ মানুষ যাদের আয়কর রিটার্ন নেই বা তারা করের আওতায় পড়ে না, তাদের জন্য সঞ্চয়পত্র কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে এই বাধ্যবাধকতা না থাকায় তারা সহজেই বিনিয়োগ করতে পারবেন।
২. গ্রামীণ জনগণ ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য উপযোগী:
অনেক অবসরপ্রাপ্ত মানুষ, গৃহিণী, প্রবাসী পরিবার বা কৃষিজীবীরা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। এই নিয়মে তারা এখন সহজে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
✅ ৩. বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়বে
যেহেতু প্রক্রিয়াটা সহজ হলো, অনেকেই আবার সঞ্চয়পত্রে আগ্রহী হবেন। এতে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ সংগ্রহেও সহায়তা হবে।
✅ ৪. সময় ও ঝামেলা কমবে
রিটার্নের কাগজ সংগ্রহ, জমা দেওয়া, ভেরিফিকেশন ইত্যাদির ঝামেলা এড়ানো যাবে। সাধারণ বিনিয়োগকারী সময় ও কষ্ট বাঁচাতে পারবেন।
তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
কোন ধরনের সঞ্চয়পত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য?
এই ছাড় সাধারণত নিম্নোক্ত সঞ্চয়পত্রগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস বা ব্যাংক শাখা বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই সিদ্ধান্ত মূলত সাধারণ জনগণের জন্য ভালো একটি পদক্ষেপ। এতে করে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আরও সহজ, সাশ্রয়ী এবং ব্যাপক পরিসরে সম্ভব হবে। বিশেষ করে যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের জন্য এটা অনেক বড় সুবিধা।
Leave a Reply