এনবিআরচেয়ারম্যানমি. আবদুররহমানখান এ বছরই দেশের ৭০ লক্ষ TIN-ধারীর মধ্যে যারা রিটার্ন দায়ের করেন না বা দেন কিন্তু কর দেন না। তাদেরই উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত “এককোটিকরদাতা”-কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আয়কর আদায়ে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
পয়েন্টগুলো:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
মোট ৭২লক্ষ TIN-ধারী রয়েছেন যারা রিটার্ন জমা দেন না, আর ৩০লক্ষ যাঁরা রিটার্ন দিচ্ছেন কিন্তু কর দিচ্ছেন না ।
এই দুই গ্রুপ মিলিয়ে মোট প্রায় এককোটি (1 কোটি) সম্ভাব্য করদাতার ওপর এনবিআর গুরুত্ব দেবে, বিশেষ করে ২০২৫–২৬অর্থবছরেরজন্য ।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য:
যারা এখনো রিটার্ন দিচ্ছেন না তাদের রিটার্ন ফাইল করতে উদ্বুদ্ধ করা
যারা রিটার্ন দিলেও কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ কর আদায় নিশ্চিত করা
এককভাবে “এক কোটি করদাতা” খাতকে শনাক্ত ও অগ্রাধিকার দেওয়া ।
কৌশলওপ্রেক্ষাপট:
পারফরমেন্সভিত্তিকঅ্যাকাউন্টেবিলিটি: ইয়ার‑২০২৫‑২৬ বাজেট প্রস্তুতির সময় একটি ফোকাস গ্রুপে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, কর কর্মকর্তা ও স্টাফদের পারফরমেন্স নজরে রাখা হবে; বিশেষ করে যারা করদাতাদের শনাক্ত ও কর আদায়ে পিছিয়ে রয়েছেন ।
ট্যাক্সনেটসম্প্রসারণকরেগতিবাড়ানো: স্বয়ং নতুন আইনের মাধ্যমে করপোরেট ও ব্যক্তিগত রিটার্ন ফাইলিং সহজ করার পাশাপাশি, ডিজিটাল প্রক্রিয়া (যেমন সিঙ্গেল উইন্ডো, অটোমেশন) চালু করা হয়েছে
করদাতাদেরসহায়তা: কর নিদর্শন হিসেবে ITP নিয়োগ করা হয়েছে যাতে সাধারণ করদাতারা রিটার্ন ফাইল করতে সহায়তা পায় ।
কেনএইপদক্ষেপজরুরি?
ভ্যাটওকাস্টমসেরচেয়েআয়করভূমিকাবাড়ানো: আমদানি‑রপ্তানি ও ভ্যাট নির্ভর রাজস্ব কাঠামোতে ভারসাম্য আনতে প্রাধান্য এখন সরাসরি আয়কর।
করজিডিপিঅনুপাতবৃদ্ধি: বর্তমান কম্প্লায়েন্স সংকটই সবচেয়ে বড় বাধা; তাই কর ফাঁকি ও অনির্দিষ্ট অতীত অব্যাহতি হ্রাস করে সমতা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা আছে ।
ট্যাক্সনেটডিপথিং: এক কোটি করদাতাকে এনবিআর-এর নজরে নিয়ে আসলে শুধু আয়কর আদায়ই বাড়বে না, বরং ওয়েলফেয়ার, অবকাঠামো উন্নয়নে অনবরত প্রবলাণ বৃদ্ধি পাবে।
✅ সারাংশ:
এককোটিকরদাতা কে অগ্রাধিকার হিসাবে নিয়ে ২০২৫‑২৬ অর্থবছরে এনবিআর তীব্র কার্যক্রম চালাবে।
লক্ষ্য থাকবে = যারা রিটার্ন দিচ্ছেন না ➤ যারা রিটার্ন দিচ্ছেন কিন্তু কর দিচ্ছেন না তাদের করের আওতায় আনা।
সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে অটোমেশন, ITP, কৌশলগত নজরদারি ও কর্মক্ষমতা‑ভিত্তিক ব্যবস্থার মাধ্যমে পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে।
Leave a Reply