তত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি
-
Update Time :
Thursday, November 6, 2025
-
57 Time View
Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh-এ চলমান “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃব্যবহারের” (caretaker government) আপিল শুনানির বিশদ তথ্য দেওয়া হলো:
মূল ঘটনা ও প্রেক্ষাপট:
- ২০১১ সালের ১০ মে, আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে Thirteenth Amendment to the Constitution of Bangladesh (যেটি নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিল) বাতিল ঘোষণা করা হয়।
- এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছিল।
- বিভিন্ন পক্ষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ ও আপিল করেছেন যেমন Bangladesh Nationalist Party (বিএনপি), Jamaat‑e‑Islami, পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকসহ একাধিক ব্যক্তি।
- সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ২৬ অগাস্টের পর (একই বছরে) আপিল বিভাগ “লিভ টু আপিল” অনুমোদন করেছে, অর্থাৎ সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরো শুনানি গ্রহণ করেছে।
শুনানির সময়সূচি ও বর্তমান অবস্থা:
- ২০২৫ এর ২১ অক্টোবর জেলা আপিল শুনানির প্রথম দিন নির্ধারণ করা হয়।
- এরপর ২২ অক্টোবর (দ্বিতীয় দিন) শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি Syed Refaat Ahmed নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ ৭ সদস্যের বেঞ্চে।
- ২৩ অক্টোবর (তৃতীয় দিন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
- ২৮ অক্টোবর (চতুর্থ দিন) এবং ২৯ অক্টোবর (পঞ্চম দিন) শুনানি চলে। ২ নভেম্বর ২০২৫ (ষষ্ঠ দিন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
- ৪ নভেম্বর ২০২৫ (সপ্তম দিন) শুনানি শুরু হয়েছে।
অংশগ্রহণকারী-দল ও যুক্তি:
- রিটকারী পক্ষ: পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর), জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল (মিয়া গোলাম পরওয়ার) সহ।
- রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবীরা ও সিনিয়র অ্যাডভোকেটরা যুক্তি উপস্থাপন করছেন যেমন অ্যাডভোকেট ডঃ শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির ইত্যাদি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল (Barrister Anik R Haque) ও অ্যাটর্নি জেনারেল (Md Asaduzzaman) যুক্ত।
- বিচারপতির দলের মন্তব্য: মূল উদ্দেশ্য শুধু “তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় চালু করা” নয়, বরং ভবিষ্যতে নির্বাচন-কালীন ব্যবস্থার একটি কার্যকর ও স্থায়ী সিস্টেম তৈরি করা।
মূল বিষয়বস্তু (কোন কি আলোচনায়):
- রিটকারীরা যুক্তি দিচ্ছেন যে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় “ভুল পদ্ধতিতে সংবিধান ব্যাখ্যা করে” দেওয়া হয়েছে।
- তারা বলছেন, নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে না আনা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ভোটের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
- রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শুধু পুরনো সিস্টেম ফিরিয়ে আনা যথেষ্ট নয়; নির্বাচনকালীন ব্যবস্থার জন্য “দীর্ঘমেয়াদি” সমাধান দরকার।
সম্ভাব্য ফলাফল ও প্রভাব:
- যদি আপিল বিভাগ রায় পরিবর্তন করে এবং পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেয়, তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন-সহ নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
- অন্যদিকে, যদি আপিল রায় আগের অবস্থায় রাখে, তাহলে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী (প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারে নির্বাচন আয়োজন) অবস্থা বজায় থাকবে।
- রায় যাই হোক, আগামী নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল-সমূহ, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply