•  National Board of Revenue (NBR)-এর “অর্থবছরের মাঝামাঝি কর বাড়ানো হবে না” সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো মূল বক্তব্য, কারণ, প্রভাব ও সামনে যা অনুসরণ হতে পারে তা একসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। নজর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের কর জিডিপি অনুপাত ছিল প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আইএমএফ আশা করছিল, ২০২৪-২০২৫ অর্বছরে এটি প্রায় ৮ শতাংশ উন্নীত হবে। তবে তা ‍উন্নতীর বদলে কমে প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ নেমে এসেছে। যার কারনে চলতি বছরে আর কোন কর বাড়ানো হবে না।  

মূল সিদ্ধান্ত:

• NBR বলেছে, আগামী অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন কোনো কর আরোপ বা বিদ্যমান করের হার বাড়ানো হবে না।
• এছাড়া করছাড় বা রেয়াত (tax exemption)-এর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা হঠাৎ বাতিল করা হবে না।
• যেমন, International Monetary Fund (IMF)-র এক প্রতিনিধি দল NBR-কে বলেছিল করের হার বাড়ানোর কথা  কিন্তু NBR এ ব্যাপারে “না” বলেছে।
• NBR উল্লেখ করেছে, “যদি কর বাড়ানো হয় বারবার, তাহলে তা নীতি দৃঢ়ভাবে বজায় রাখা কঠিন হবে”  অর্থাৎ, ধারাবাহিক ও পূর্বঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ।

আইনগত ও নীতিগত কারণ:

• অনেক করছাড় বা রেয়াত “sunset clause” (মেয়াদ-সীমা) যুক্ত ছিল  অর্থাৎ রেয়াতটি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিজে শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যি সেটি বাতিল করা আইন ও নীতি উভয় দিকেই কঠিন।
• NBR-র নীতি হচ্ছে করপরিবর্তন আগে ঘোষণা করা হবে, যাতে করদাতারা প্রস্তুতি নিতে পারে, ব্যবসায়ী পরিবেশ স্থিতিশীল থাকে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ:

• মাঝেমধ্যি কর বাড়ালে মূল্যস্ফীতি (inflation) বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে  বিশেষ করে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য যদি মৌলিক খাবার, চিকিৎসা, কৃষি খাতের উপর কর বাড়ে। NBR-এর বক্তব্য এই ধরনের বাড়ানো এখন “উচ্চ মূল্যস্ফীতি” প্রসঙ্গে যুক্তিসিদ্ধ নয়। নির্বাচন বা রাজনৈতিক পরিবেশ বিবেচনায়  এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে কর বাড়ালে জনপর্যায়ের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে ও সরকারের স্থিতিশীলতা কমতে পারে।

রাজস্ব সংগ্রহ-চ্যালেঞ্জ:

• কর/রাজস্ব অনুপাত (tax-to-GDP ratio) দীর্ঘদিন ধরে কম রয়েছে। NBR বলেছে, নতুন কর বাড়িয়ে দ্রুত সমস্যা মেটানো সম্ভব না, বরং করভিত্তি বৃদ্ধি ও পুনরুজ্জীবন জরুরি।
• করঘাটতি বা অপ্রয়োজিত রেয়াত খুব বেশি হলে ভবিষ্যতে রাজস্ব বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। NBR-র আভাস রয়েছে যে তারা করসুবিধা (exemptions) ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে।

সম্ভব প্রভাব:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

• ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে ভালো সংকেত হিসেবে নিতে পারেন মাঝেমধ্যে কর বাড়ানোর ঝুঁকি কম থাকলে পরিকল্পনা-নিতে স্থিতিশীলতা থাকবে।
• সাধারণ মানুষের জন্য ভালো খবর যে হঠাৎ কর বা ভ্যাট বাড়িয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় দ্রুত বাড়ার সম্ভাবনা কম।
• তবে, কর বাড়ানো বন্ধ থাকায় রাজস্ব ঘাটতি বাড়লে সরকারের অন্য সোর্স (যেমন ঋণ, খরচ কমানো, নতুন করভিত্তি) বাড়াতে হতে পারে।
• রেয়াত বা করছাড় কমাতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হলে দীর্ঘমেয়াদে করভিত্তি (tax base) বাড়ানোর পথ খুলতে পারে।

সামনে কী ঘটতে পারে:

• NBR বলেছে, তারা মধ্যমেয়াদে (medium-term) একটি “করভিত্তি বৃদ্ধি” (tax base expansion) পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছে  যেমন করদাতা সংখ্যা বাড়ানো, রেয়াত ধীরে ধীরে কমানো।
• তারা নতুন বাজেটে (যেমন অর্থবছর ২০২৬-২৭) এই দিকেও নজর দেবে  তবে তার আগেই হঠাৎ কর বাড়ানোর সম্ভাবনা ছোট দেখাচ্ছে। করনীতি (tax policy)-কে আরও সহজ ও ব্যবসা-প্রেমী করার কথা বলা হয়েছে  করহার কমানোর কথা নয়, बल्कि প্রক্রিয়া (compliance burden) কমানোর দিকে

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী