প্রথমে বুঝতে হবে কী ধরনের ভুল হয়েছে। সাধারণত ভুলগুলো দুইভাবে হতে পারে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- তথ্যগত ভুল (Clerical Error):
যেমন নাম, ঠিকানা, টিআইএন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আয়ের অঙ্ক ইত্যাদিতে ভুল।
- আয়/খরচ/কর গণনায় ভুল (Computation Error):
যেমন আয় কম-বেশি দেখানো, ট্যাক্স রিবেট না দেওয়া, ভুল স্ল্যাব প্রয়োগ করা ইত্যাদি।
২. সংশোধন রিটার্ন দেওয়ার সময়সীমা:
বাংলাদেশের আয়কর আইন অনুযায়ী (আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে):
রিটার্ন দাখিলের পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে করদাতা চাইলে সংশোধিত রিটার্ন জমা দিতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি যদি মূল রিটার্নটি ২০২5 সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেন, তাহলে ২০২৬ সালের ৩০ মে পর্যন্ত সংশোধন রিটার্ন দিতে পারবেন।
৩. অনলাইনে সংশোধন রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি (eReturn):
ধাপ 1: পূর্বের রিটার্ন নির্বাচন
আপনার প্রোফাইলে গিয়ে “Return History” বা “Submitted Returns” এ যান।
সেখানে আপনি পূর্বে জমা দেওয়া রিটার্নটি দেখতে পাবেন।
“Revise” বা “Revised Return” অপশনটি সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় সংশোধন করুন
যে অংশে ভুল হয়েছিল, সেটি সংশোধন করুন। যেমন—
- আয়/ব্যয় বা করের অঙ্ক ঠিক করা
- ব্যাংক তথ্য পরিবর্তন
- করছাড় বা রিবেট যুক্ত করা
সবশেষে সংশোধনের কারণ (Reason for Revision) উল্লেখ করুন, যেমন:
“Inadvertent mistake in income calculation” অথবা “Forgot to include bank interest income” ইত্যাদি।
ধাপ ৪: জমা ও স্বাক্ষর:
সব তথ্য যাচাই করে “Submit” করুন।
একটি নতুন Acknowledgment Receipt (Revised Return Acknowledgment) পাবেন।
এটি সংরক্ষণ করে রাখুন।
৪. যদি রিটার্ন অফলাইনে জমা দিয়ে থাকেন:
যদি কাগজে (ম্যানুয়ালি) রিটার্ন দাখিল করে থাকেন, তবে:
- একই ফরমে নতুন রিটার্ন পূরণ করুন,
- ওপরের অংশে লিখুন “সংশোধিত রিটার্ন (Revised Return)”,
- পুরোনো রিটার্নের রেফারেন্স নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করুন,
- প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন এবং
- স্থানীয় কর অফিসে জমা দিন।
৫. কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- সংশোধন রিটার্ন একবারই দেওয়া যায় (একাধিকবার নয়)।
- যদি ভুলের কারণে কম কর দেখানো হয়ে থাকে, তাহলে বাকি কর সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে।
- যদি বেশি কর দেখানো হয়ে থাকে, তাহলে সেটির রিফান্ড বা সমন্বয়ের আবেদন করা যায়।
- আয়কর অফিস কোনো তদন্ত করলে, সংশোধন রিটার্নের সঙ্গে সত্যতা প্রমাণে নথি (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ ইত্যাদি) রাখতে হবে।
সংক্ষিপ্ত উদাহরণ:
পরিস্থিতি: আপনি বেতন আয়ে ১২ লাখ টাকা দেখিয়েছেন, কিন্তু ৫০,০০০ টাকার ব্যাংক সুদ বাদ গেছে।
সমাধান:
Revised Return-এ ব্যাংক সুদ যুক্ত করুন → মোট আয় ১২.৫ লাখ → নতুন কর হিসাব দিন → পার্থক্য কর পরিশোধ করুন → সংশোধন রিটার্ন জমা দিন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply