1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
December 29, 2025, 10:58 am
Title :
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের পদত্যাগ ৩০ ডিসেম্বর অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনের প্রার্থীদের রিটার্ন দেওয়ার জন্য অফিস খোলা রাখবে এনবিআর আয়কর রিটার্নে নগদ টাকা কত দেখাবেন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমার সময় সীমা বাড়াল এনবিআর ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া সেরেছেন তারেক রহমান আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে অবসরের ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবী: হাইকোর্ট প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা করলো এনবিআর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে আয়কর রিটার্ন জমার সময়, অনলাইন কীভাবে দেবেন

বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনালের অভিমত

  • Update Time : Monday, October 13, 2025
  • 196 Time View

বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত”  এই বক্তব্যটি বর্তমানে আমাদের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা, নৈতিকতা এবং আইনের শাসনের প্রশ্নে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাইব্যুনাল বা উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার রায় এবং পর্যবেক্ষণে এই অভিমত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। নিচে আরও বিস্তৃতভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলো।

বিষয়: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

. বিচারক মানে ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়:

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, বিচারকগণ আইনের ব্যাখ্যাতা এবং প্রয়োগকারী হলেও তারা মানুষ এবং মানুষ মাত্রই ভুল করতেই পারে। এই ভুল যদি ইচ্ছাকৃত, অনৈতিক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। বিচারপতির পদ মর্যাদার ঊর্ধ্বে নয়।

 . জনগণের আস্থা বজায় রাখতে হলে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা আবশ্যক:

আইনের শাসন মানে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, তা প্রয়োগকারীরও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা তখনই অটুট থাকে, যখন তারা দেখে বিচারকরাও আইন মেনে কাজ করছেন, ভুলের দায় নিচ্ছেন, এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখছেন।

 . বিচারক যদি পক্ষপাত করেন, তার প্রতিকার কোথায়:

ট্রাইব্যুনাল বিভিন্ন মামলায় লক্ষ্য করেছে  কিছু বিচারক রাজনৈতিক প্রভাব, সামাজিক প্রভাব বা আর্থিক প্রলোভনে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে:

  • উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ বা আপিলই একমাত্র উপায় হয় না।
  • বিচারকদের জন্য নিরপেক্ষ আচরণবিধি (Code of Conduct) থাকা জরুরি।
  • অসদাচরণ বা ভুল রায়ের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা থাকা উচিত।

. বিচারকদের অপসারণ বা শাস্তির জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকা দরকার

ট্রাইব্যুনাল অভিমত দিয়েছে যে:

  • বিচারকরা যেন অনির্ভরযোগ্য বা ক্ষমতার অপব্যবহারকারী না হন।
  • বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত পদ্ধতি থাকুক  যেমন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল (যেটি বাংলাদেশে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে)।

 অনেক দেশে যেমন থাকে:

  • ইংল্যান্ডে: Judicial Conduct Investigations Office
  • ভারতে: ইন-হাউস কমিটি তদন্ত করে
  • বাংলাদেশে: বিচারপতি অপসারণের ব্যবস্থা সংসদের মাধ্যমে, তবে তা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল

 . অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি আত্মসমালোচনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে:

ট্রাইব্যুনাল মনে করে বিচার বিভাগে:

  • বিচারকদের বার্ষিক মূল্যায়ন হোক
  • আচরণবিধি নিয়মিত হালনাগাদ হোক
  • বিচারকদের প্রশিক্ষণ হোক নৈতিকতা, আচরণ এবং ক্ষমতার সীমা সম্পর্কে
  • “Self-regulation” ও “Peer review” ব্যবস্থা চালু হোক
  •  

 . বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য:

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি তার আচার, আচরণ এবং স্বচ্ছতা দিয়েই গঠিত হয়। যদি বিচারকরা অপেশাদার বা অযোগ্য হন, তাহলে সেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং বিচারিক কাঠামোর উপর আঘাত লাগে।

 উপসংহার:

বিচারপতিদের সম্মান সংবিধান দিয়েছে, তবে সেই সম্মানের সাথেই দায়িত্ব ও জবাবদিহি জরুরি। বিচার বিভাগ যদি নিজেকে প্রশ্নাতীত মনে করে, তবে তা একপ্রকার স্বৈরতন্ত্রেই রূপ নেয়। আর তাই ট্রাইব্যুনালের অভিমত অত্যন্ত যথাযথ:
 বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকতে হবে  কারণ আইনের শাসনে কেউই দায়মুক্ত নয়।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews