“বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত” এই বক্তব্যটি বর্তমানে আমাদের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা, নৈতিকতা এবং আইনের শাসনের প্রশ্নে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাইব্যুনাল বা উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার রায় এবং পর্যবেক্ষণে এই অভিমত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। নিচে আরও বিস্তৃতভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলো।
বিষয়: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত:
১. বিচারক মানে ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়:
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, বিচারকগণ আইনের ব্যাখ্যাতা এবং প্রয়োগকারী হলেও তারা মানুষ এবং মানুষ মাত্রই ভুল করতেই পারে। এই ভুল যদি ইচ্ছাকৃত, অনৈতিক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। বিচারপতির পদ মর্যাদার ঊর্ধ্বে নয়।
২. জনগণের আস্থা বজায় রাখতে হলে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা আবশ্যক:
আইনের শাসন মানে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, তা প্রয়োগকারীরও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা তখনই অটুট থাকে, যখন তারা দেখে বিচারকরাও আইন মেনে কাজ করছেন, ভুলের দায় নিচ্ছেন, এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখছেন।
৩. বিচারক যদি পক্ষপাত করেন, তার প্রতিকার কোথায়:
ট্রাইব্যুনাল বিভিন্ন মামলায় লক্ষ্য করেছে কিছু বিচারক রাজনৈতিক প্রভাব, সামাজিক প্রভাব বা আর্থিক প্রলোভনে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে:
৪. বিচারকদের অপসারণ বা শাস্তির জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকা দরকার
ট্রাইব্যুনাল অভিমত দিয়েছে যে:
অনেক দেশে যেমন থাকে:
৫. অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি ও আত্মসমালোচনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে:
ট্রাইব্যুনাল মনে করে বিচার বিভাগে:
৬. বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য:
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি তার আচার, আচরণ এবং স্বচ্ছতা দিয়েই গঠিত হয়। যদি বিচারকরা অপেশাদার বা অযোগ্য হন, তাহলে সেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং বিচারিক কাঠামোর উপর আঘাত লাগে।
উপসংহার:
বিচারপতিদের সম্মান সংবিধান দিয়েছে, তবে সেই সম্মানের সাথেই দায়িত্ব ও জবাবদিহি জরুরি। বিচার বিভাগ যদি নিজেকে প্রশ্নাতীত মনে করে, তবে তা একপ্রকার স্বৈরতন্ত্রেই রূপ নেয়। আর তাই ট্রাইব্যুনালের অভিমত অত্যন্ত যথাযথ:
“বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকতে হবে কারণ আইনের শাসনে কেউই দায়মুক্ত নয়।”
Leave a Reply