বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে বেশ কিছু জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে বেতন–ভাতা আটকে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি:
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে বেতন–ভাতা আটকে যেতে পারে কেন:
বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ২০২১ সালের পর থেকে টিআইএনধারীদের (Taxpayer Identification Number) জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। অনেক ক্ষেত্রে “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (Acknowledgement Receipt বা EVC)” না থাকলে বিভিন্ন আর্থিক ও প্রশাসনিক সুবিধা স্থগিত থাকে।
বেতন–ভাতা আটকে যাওয়ার কারণসমূহ:
1. D.D.O (Drawing and Disbursing Officer) কর্তৃক বাধা:
2. ট্যাক্স সার্টিফিকেট না থাকলে বিল পাশ হয় না:
3. চাকরির ঝুঁকি ও প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা:
রিটার্ন না দিলে অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে:
| সমস্যা | বিবরণ |
| ব্যাংক লোন | আয়কর রিটার্ন না থাকলে অনেক ব্যাংকে লোন আবেদন বাতিল হয়ে যায় |
| পাসপোর্ট রিনিউয়াল | কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদন বা রিনিউয়ালের সময় রিটার্ন কপি চাওয়া হয় |
| টেন্ডার / লাইসেন্স | সরকারি টেন্ডার বা লাইসেন্স গ্রহণে রিটার্ন বাধ্যতামূলক |
| ক্রেডিট কার্ড | কিছু ব্যাংকে নির্ধারিত সীমার উপরে ক্রেডিট কার্ড পেতে রিটার্ন প্রয়োজন |
কি করা উচিত?
সহায়তা প্রয়োজন?
উপসংহার:
আয়কর রিটার্ন সময়মতো না দিলে আপনার বেতন-ভাতা আটকে যেতে পারে, বিশেষ করে আপনি যদি সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাই সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা অত্যন্ত জরুরি।
Leave a Reply