কাস্টম হাউসে অনলাইনেশুল্ক–কর (import/export duties & taxes) প্রদানের জন্য একটি নতুন সিস্টেম চালু হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে “a‑Chalan” বা e‑Challan / Automated Challan। নিচে বিস্তারিত সংক্ষেপে দেওয়া হলো, কীভাবে কাজ করে, কোথায় ব্যবহার করা যাবে, এবং কি কি পদ্ধতি রয়েছে:
a‑Chalan কি:-
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
NBR (National Board of Revenue) ও Finance Division যৌথভাবে একটি ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে, যার মাধ্যমে আমদানিকারক (importer), রপ্তানিকারক (exporter), এবং C&F agents তারা শুল্ক ও অন্যান্য কর সরাসরি সরকারের কোষাগারে জমা দিতে পারবেন অনলাইনে বা ব্যাংক/মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে। আগে যেখানে RTGS (Real‑Time Gross Settlement) ব্যবহার করা হতো এবং যেটি নির্ধারিত ব্যাংক কার্য‑ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ ছিল, যেখানে কখনো কখনো টাকা কোষাগারে পৌঁছাতে সময় লাগতো নতুন সিস্টেমে তা দ্রুত হবে এবং সময়ের বাঁধা কমে যাবে। এই সিস্টেমটি Customs’ ASYCUDA World সিস্টেমের সঙ্গে এবং Finance Division-এর iBAS++ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে যাতে পেমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বীকৃতি পায়, রিসিপ্ট তৈরি হয় এবং ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
কোথায়এবংকখনথেকেপ্রযোজ্য:
এই সিস্টেম ধাপে ধাপে দেশের সব কাস্টম হাউসে চালু করা হয়েছে। প্রথম মধ্যে ICD Kamalapur Customs House, Pangaon Customs House, Chattogram Customs House এ পাইলট ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ৭ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে সব কাস্টম হাউসে (Dhaka Customs House সহ) এই a‑Chalan সিস্টেম কার্যকর করা হয়েছে।
পেমেন্টপদ্ধতিসমূহ:
নীচে পাওয়া যাবে কি কি উপায়ে পেমেন্ট করা যাবে:
পদ্ধতি
বিবরণ
ইন্টারনেটব্যাংকিং (Internet Banking)
আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকেই অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে।
ডেবিট / ক্রেডিটকার্ড
কার্ড ব্যবহার করেই শুল্ক‑কর পরিশোধ করা যাবে।
মোবাইলফাইন্যান্সিয়ালসার্ভিস (MFS)
যেমন‑ bKash, Rocket, Nagad, Upay, Mcash, TrustPay ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
ব্যাংকশাখায়
দেশের ৬১টি নির্ধারিত ব্যাংকের ১১,৭০০টি শাখায় কাউন্টার থেকে অথবা চেক/অ্যাকাউন্ট ডেবিটের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে।
পেমেন্টেরপরকিহয়?
পেমেন্ট সফল হলে একটি রিসিপ্টনাম্বার (system‑generated receipt number) দেওয়া হবে যা পোর্টে গুদামমুক্তি (goods clearance) ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। রিসিপ্ট নাম্বার ছাড়া বা পেমেন্টের প্রমাণ ছাড়া শুল্কমুক্তি ও বেরিয়ে আসা প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে।
সুবিধাএবংচ্যালেঞ্জ:
সুবিধাসমূহ:
সময় কম লাগে, কারণ টাকাৎক্ষণাৎ কোষাগারে পৌঁছাবে।
খোলা সময়ের সীমাবদ্ধতা কমে গেছে (২৪/৭ সুবিধা)।
স্বচ্ছতা বাড়ে, বিকল্প কর বা বিলম্ব দ্বারা তদারকি কমে যায়।
C&F এজেন্ট, আমদানিকারক/রপ্তানিকারকদের কাজ সহজ হয়।
সম্ভাব্যচ্যালেঞ্জ:
ইন্টারনেট বা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে কিছু ব্যবহারকারীর কাছে প্রযুক্তিগত বাধা থাকতে পারে।
ব্যাংক বা মোবাইল সার্ভিস প্রভাইডারদের সার্ভিস চার্জ, সময় লাগা, কখনো কখনো নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে বিলম্ব হতে পারে।
খোলা‑কলিং কেস, স্পেসিফিক কাস্টম হাউসে কখনো কখনো প্রবলেম হতে পারে যদি সেই হাউসে পুরোপুরি সিস্টেম সেট‑আপ না হয়ে থাকে বা ট্রেনিং না দেওয়া থাকে।
Leave a Reply