অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের (e-filing of tax return) সময় করদাতার ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষিত ও প্রক্রিয়াকৃত হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্যের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে করদাতার তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
করদাতার তথ্য কতটা নিরাপদ?
১. ডেটা এনক্রিপশন (Data Encryption):
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য করদাতা যখন তথ্য প্রদান করেন, তখন সেই তথ্য এনক্রিপ্টেড (শব্দরূপে বলা যায় ‘গোপন সংকেতে রূপান্তরিত’) হয়। এর ফলে তৃতীয় কোনো পক্ষ এই তথ্য সহজে পড়তে বা ব্যবহার করতে পারে না।
২. সিকিউর সার্ভার (Secure Server) ব্যবহার:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) বা কর সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণত HTTPS সুরক্ষিত সার্ভার ব্যবহার করে, যা তথ্য আদান-প্রদানের সময় হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
৩. OTP / 2FA ব্যবস্থাপনা:
অনেকে করদাতার প্রোফাইল অ্যাক্সেসের সময় One-Time Password (OTP) বা Two-Factor Authentication (2FA) ব্যবস্থা রাখে, যাতে শুধু সঠিক ব্যক্তি-ই তথ্য দাখিল করতে পারেন।
৪. ব্যবহারকারীর অধিকার নিয়ন্ত্রণ (User Access Control):
করদাতার তথ্য কে দেখতে বা পরিবর্তন করতে পারবে — তা নির্ধারিত থাকে নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে।
সম্ভাব্য ঝুঁকি কী কী?
যদিও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবুও কিছু ঝুঁকি থেকে যায়:
ফিশিং আক্রমণ:
ভুয়া ইমেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করদাতার তথ্য চুরি করার চেষ্টা করা হতে পারে।
দুর্বল পাসওয়ার্ড:
দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণে হ্যাকার সহজেই একাউন্টে প্রবেশ করতে পারে।
পাবলিক ওয়াই–ফাই ব্যবহার:
অনিরাপদ বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
করদাতার করণীয়:
করদাতা হিসেবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিচের কাজগুলো করা উচিত:
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে করদাতার তথ্য মোটের উপর নিরাপদ, যদি তা নির্ভরযোগ্য ও সরকারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করা হয় এবং করদাতা নিজেও সাইবার সচেতনতা বজায় রাখেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে, কিন্তু ব্যবহারকারীর সতর্কতা এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply