এনবিআর শাটডাউনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমান জানতে চেয়েছে সরকার
Update Time :
Saturday, August 9, 2025
91 Time View
বাংলাদেশের এনবিআর শাটডাউন‑এর কারণে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কাজনক আর্থিক ক্ষতির বিস্তারিত ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো:
আর্থিকক্ষতিরপরিমাণ
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিষয়টি “নিকট বিপর্যয়” যাতে পরিনত হতে পারে। প্রতিদিন আমদানি‑রপ্তানি কার্যক্রমে Tk 2,500 কোটিপর্যন্ত ক্ষতির আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে ।
অন্য কিছু সংবাদে এই সংখ্যাকে Tk 3,000 কোটি পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে, যা বুঝতে সাহায্য করে ব্যবসায়িক লেনদেনের মাত্রা কতটা ব্যাপকভাবে আঘাতগ্রস্ত হচ্ছে ।
সারসংক্ষেপ: সময়ভেদে Tk 2,500–3,000 কোটি প্রাত্যহিক ক্ষতির বিশাল আকার দৃশ্যমান।
অন্যান্যপ্রভাবওব্যবসায়িকচাপ
ডেমোরেজখরচচারগুণবৃদ্ধি: পোর্টে জব্দ থাকা পণ্যগুলো কারণে – ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে ।
ক্লিয়ারেন্সওঅনুমোদনেবিলম্ব: সাধারণত এক দিনের কাজ এখন ১০–১৫ দিন সময় নিচ্ছে, ফলে শিপমেন্টে বিলম্ব বাড়ছে এবং ক্রেতারা ক্রমাগত ।
বাজারহারানোওঅর্ডারবাতিল: ইতিমধ্যে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিলের কথা ভাবছেন এবং ব্যাপারটি দেশীয় ব্যবসায় তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে ।
সামগ্রিকঅর্থনৈতিকউদ্বেগ: পোর্ট ও কাস্টমস কার্যক্রম শঙ্কিত হওয়ার ফলে রপ্তানি-আমদানি উৎপাদন ও আয় দু’টি প্রভাবিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গেরাজনৈতিকওপ্রশাসনিকভূমিকা:
NBR‑এর নতুন “Revenue Policy Division” ও “Revenue Management Division” গঠনের পরিকল্পনা ছিল, যা নিয়ে এনবিআর কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ।
এর ফলে মে–জুন২০২৫ মাসে দেশব্যাপী এনবিআর শাটডাউন হয়, যা পরপরকয়েকদিনআন্তর্জাতিকবাণিজ্যকার্যক্রমসম্পূর্ণবন্ধকরেদেয় ।
সরকার “এসেনশিয়াল সার্ভিস” হিসেবে ঘোষণা করে কাস্টমস, ভ্যাট, ট্যাক্স সেবা চালু রাখতে বাধ্য করে; শেষ পর্যন্ত ২৯জুনরাতেইএনবিআরকর্মকর্তারাশাটডাউনপ্রত্যাহারকরেন ।
অন্তর্দৃষ্টিওবিশ্লেষণ:
মুলত, প্রত্যেককার্যদিবসে Tk 2,500–3,000 কোটি টাকার লেনদেন আটকে যাওয়াই ক্ষতির মূলে; এই বিপুল অঙ্ক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলে বিপর্যয় ডেকে আনছে।
বিলম্ব ও অতিরিক্ত খরচ শুধু ব্যবসায়ীদেরই নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিকেও বিপর্যয়ে ঠেলে দিচ্ছে বিশেষ করে রপ্তানিকে কেন্দ্র করে তৈরি “ready-made garments, leather, footwear, pharmaceuticals, agro-processing” শিল্পগুলোকে অস্তিত্ব সংকটে ঠেলে দিয়েছে ।
সরকার এবং ব্যবসায়িক শ্রেণির দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া এই পারিপার্শ্বিক সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
Leave a Reply