২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
Update Time :
Wednesday, August 6, 2025
97 Time View
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানউপদেষ্টা (Chief Adviser) ও তাঁর প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
প্রধানউপদেষ্টা: মুহাম্মদইউনূস, ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ, ৮ আগস্ট ২০২৪ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বাসী (interim) সরকারে Chief Adviser (প্রধান উপদেষ্টা) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
তিনি প্রধান নির্বাচনী প্রস্তুতির দায়িত্বে আছেন এবং একটি রাজনৈতিক নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন ।
নির্বাচনসময়সূচীওজাতীয়রোডম্যাপ:
৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ঘোষণা করেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন রমজান শুরু হওয়ার আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে ।
নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ বিবেচিত হচ্ছে, যা সম্ভবত ১৭–১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বাভাসিত রমজান শুরু-এর আগে হবে ।
পূর্ববর্তী বক্তব্য ও বিপুল সংশোধনি কাজের ভিত্তিতে তিনি বলেছিলেন, যদি ভোটার তালিকা ঠিকঠাক করে ও সীমিত সংস্কার অল্প সময়েই করা হয়, তাহলে নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত হতে পারে; অন্যথায় সেটা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে (এপ্রিলের আগে বা মধ্যমে) ধাপ দৃঢ় হবে ।
তার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকার একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ রেখেছে যেখানে নির্বাচন ৩০ জুন, ২০২৬ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে নিশ্চিতভাবে ।
তবে জুনের শেষের তুলনায় একটি উৎসবমুখর ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অধিক সম্ভাবনাময় বলে রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় ও প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে একমত হয়েছে ।
প্রশাসনিককাঠামোওসংশ্লিষ্টকমিশনসমূহ:
নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে আবেদন করা হয়েছে নতুন একটি Election Commission গঠন করতে:
আরও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন ২১ নভেম্বর ২০২৪-এ ।
পাশাপাশি গঠিত হয়েছে National Consensus Commission, যার নেতৃত্বে আছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজে, এবং উপ-চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন অলিরিয়াজ, যিনি সাংবিধানিক সংস্কারে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ।
সহায়ক ছয়টি রিফর্ম কমিশনের (নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, প্রশাসন, দুর্নীতি, সাংবিধানিক রিফর্ম) রিপোর্টভিত্তিক সুপারিশের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা হয়েছে ।
তিনটিমূললক্ষ্য:
Chief Adviser মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর প্রশাসনের উদ্দেশ্য তিনটি মূল ভিত্তিতে স্থির করেছেন:
ন্যায়ওস্বচ্ছবিচারব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠা জনসাধারণ ও শিক্ষার্থী দমিত হওয়া আন্দোলনের পক্ষেকে জায়গা দেওয়া।
রাজনৈতিকওপ্রশাসনিকসংস্কার নির্বাচনী পুনর্গঠন ও দুর্নীতি উন্মোচন।
নিরপেক্ষওউৎসবমুখরনির্বাচনআয়োজন যাতে নির্বাচন একটি আনন্দ ভাবাপন্ন নাগরিক অধিকার হিসেবে উদযাপন করা যায় ।
সারসংক্ষেপ:
বিষয়
বিবরণ
Chief Adviser
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস (দায়িত্বকাল: ৮ আগস্ট ২০২৪ থেকে)
নির্বাচনীসময়সূচী
সম্ভাব্য ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে, রমজান শুরু পূর্বে (১৭–১৮ ফেব্রুয়ারি)
সর্বোচ্চসময়সীমা
৩০ জুন, ২০২৬-এর মধ্যে ভোট
প্রস্তুতিরউপাদান
ভোটার তালিকা আপডেট, রিফর্ম কমিশনের সুপারিশ কার্যকর, জাতীয় ঐকমত্য
কমিশনসমূহ
Election Commission ও National Consensus Commission সহ ৬ রিফর্ম কমিশন
Leave a Reply