মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি র সময় “লাশ গোপন করা হয়েছে” এমন অজানা অভিযোগে কোনো প্রমাণ বা সত্যতা নেই। বরং সরকারি ও সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট দেহগুলো যথাসময়ে হাসপাতালে ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের কাছে সঠিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে সময় বিমান বিধ্বস্ত হয়, সে সময় অল্প কিছু ক্ষিক্ষার্থী স্কুলে ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সকলের তথ্য আছে, তাই লাশ গোপন করার বিষয়টি সত্য নয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনায় লাশের সংখ্যা গোপন বা লাশ ‘গুম’ করা হয়েছে-এমন বিভিন্ন দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
লাশ গুমের এই অভিযোগ কারা করছেন, এর ভিত্তিই বা কী?-এ বিষয়ে জানা যায় , ‘ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন এসব দাবি করছেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অনলাইনের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে একজন নিজেই ২৫টি লাশ বের করার কথা বলেন, যা ২২ ঘন্টায় ১০ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে। আরেকটি ভিডিওতে একজনকে ৫০টির বেশি লাশ বের করার দাবি করতে দেখা যায়।
এমনকি ‘রাত ২টায় অ্যাম্বুলেন্সে লাশ সরানো হচ্ছে’- এমন ভুয়া তথ্যও শেয়ার করা হয় বিভিন্ন অনলাইনে ।
মাঠপর্যায়ের বিবরণ:
সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বর্ণনা:
‘লাশ গোপন’ কোথা থেকে এ রটণা?
পরিষ্কার বস্তবায়ন:
বিষয় | বাস্তবতা |
উদ্ধার অভিযান | দ্রুত ও নিয়মিত পরিচালিত |
হাসপাতাল হ্যান্ডিং | রেজিস্টার অনুযায়ী সঠিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে |
তথ্যের পার্থক্য | সাময়িক ও প্রাথমিক — সরকারের তথ্য যাচাই চলছে |
বর্তমানে “লাশ গোপন করা হয়েছে” এমন কোনো তথ্যসমর্থক প্রমাণ, সরকারি নথি অথবা বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট নেই। বরং সমস্ত মৃতদেহ প্রশাসনিক ও হাসপাতালের মাধ্যমে যথাযথভাবে হস্তান্তরিত হয়েছে। গুজব ছড়ানোর পেছনে অনিশ্চিত তথ্য ও আতঙ্ক কাজ করেছে।
Leave a Reply