সরকার আমাকে যেতে বললে চলে যাবো, পদত্যাগ ইস্যুতে শিক্ষা উপদেষ্টা
Update Time :
Wednesday, July 23, 2025
49 Time View
️ শিক্ষাউপদেষ্টারবক্তব্য:
সি. আর. আবরার বলেন, তার উপর নিজ থেকে পদত্যাগের কোনও ইচ্ছা নেই, কারণ তার কাজে কোনো ধরনের “ব্যত্যয়” (negligence) হয়নি ।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
তিনি জানিয়েছেন: “সরকারবললেচলেযাব” অর্থাৎ, যদি সরকার তাঁর উপর কাজের ব্যর্থতার অভিযোগ আনতে চায় এবং পদত্যাগের নির্দেশ দেয়, তবে তিনি চলে যাবেন ।
একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন, “পদ আঁকড়ে থাকার কোনো মনোভাব নেই” এবং “দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিল না ।
এছাড়া উল্লেখ করেছেন, পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি পাঠ্য বিধি ও পদ্ধতি অনুসারে হয়েছে, তাই কিছুটা বিলম্ব হয়েছে ।
শিক্ষার্থীদেরবিক্ষোভওদাবিসমূহ:
২২ জুলাই, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লাসহ প্রায় সব জেলায় শিক্ষার্থীরা বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক, চিটাগাং শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা সচিবালয়, কলেজ প্রাঙ্গণ অবরোধ করেন এবং স্লোগানে মুখরিত হন ।
তারা দাবী করছেন:
শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব পদত্যাগ করবেন।
মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ এবং নির্ভুল তালিকা এবং পরিকল্পিত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে ।
সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়, এতে প্রায় ৭৫ জন আহত হয়েছেন ।
চট্টগ্রামে একই দাবিতে শিক্ষা বোর্ডের সামনে পথ অবরোধও করা হয় ।
সারসংক্ষেপ:
বিষয়
বিস্তারিত
উপদেষ্টারমনোভাব
নিজ থেকে পদত্যাগ করবেন না, তবে সরকার চাইলে যাবে।
মোটিভেশন
তিনি তার কাজ যথাযথভাবে করেছেন এবং অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব ঘটেছে।
প্রতিবাদওকর্মসূচি
দেশের প্রায় সব জেলায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ; গুরুতর সংঘর্ষে আহত উপস্থিত।
দাবি
উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ, দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার।
বিশ্লেষণ:
সি. আর. আবরার আত্মসমালোচনার পরিবর্তে এটি বলেছেন: “জোরকরেনিজেথেকেপদত্যাগকরবনা, সরকারবললেচলেযাব।” এটা পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে তিনি প্রত্যাহারযোগ্য, কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত নয় ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি উপদেষ্টা-সচিব দুজনকেই পদত্যাগ করতে হবে এখনও মেটেনি ।
পরবর্তীসম্ভাবনা:
সরকার কি সি. আর. আবরার-কে সরিয়ে দেবে, নাকি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামানোর পর পরিস্থিতির “নিয়ন্ত্রণ” চালানো হবে? আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা এই প্রশ্নটার উত্তর মিলতে পারে।
শিক্ষার্থী আন্দোলন যে এত বিস্তার লাভ করেছে, সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, পরবর্তী দিনগুলোতে ব্রেকথ্রু বা রূপান্তর আসতে পারে।
Leave a Reply