ভয়াবহ মাইলস্টোন ট্রাজেডি : নানা অব্যবস্থাপনায় কষ্ট বেড়েছে দগ্ধদের
- Update Time : Tuesday, July 22, 2025
- 79 Time View
মাইলস্টোন কলেজ (উত্তরা, ঢাকা) ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ও তার পরের দগ্ধদের অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
দুর্ঘটনার সারসংক্ষেপ:
- তারিখ ও সময়: ২১ জুলাই ২০২৫, দুপুরের পর।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ঘটনাস্থলেই বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ও অগ্নিদগ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ১৬০ এর বেশি আহত হন । আরও কতজন নিহত বা আহত এখনো সঠিক ভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আগে তাদেরতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে বিদেশী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা । দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দগ্ধদের অবস্থা ও চিকিৎসা অবস্থায়:
বাংলাদেশ জাতীয় দগ্ধ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট–এ ভর্তি পুরনো ও গুরুতর চর্মপথ খণ্ডিত রোগীরা:
- ১৫ জন রোগী দেহের ৩০% বা তার বেশি অংশে দগ্ধ;
- ৬ জন বর্তমানে ICU-তে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
| নাম | বয়স | দগ্ধ অংশের পরিমাণ |
| Nafis | ৯ | ৯৫% |
| Shamim | ১৪ | উল্লেখ নেই |
| Sayem Yusuf | — | উল্লেখ নেই |
| Mahiya | — | উল্লেখ নেই |
| Afnan Fayaz | — | উল্লেখ নেই |
| Samia | — | উল্লেখ নেই |
- অন্যান্য গুরুতর দগ্ধ রোগীরা:
- Nawrin – ৩০%
- Masuma (৯ বছর) – ৬০%
- Tasnia – ৩৫%
- Ayon (১৪ বছর) – ৬০%
- Mahtab (১৩ বছর) – ৮০%
- Makin (১৫ বছর) – ৬২%
- Arian (১১ বছর) – ৫৫%
- Axion (১৫ বছর) ও Mehrin Chowdhury (৪৬ বছর) – উভয়ই ১০০% দগ্ধ
- Rohan (১৯ বছর) – ৫০%
- Nazia (১৩ বছর) – ৮০%
- Chan Mia (৪০ বছর) – ৪০%
- Abir – ২০%
- Masum (৩২ বছর) – ৬০%
অব্যবস্থাপনার প্রভাব:
- দুর্ঘটনার পর শিগগিরই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা নিশ্চিত হয় নি, ফলস্বরূপ ছোট ও কিশোর বয়সী রোগীদের দায়মুক্ত অবস্থায় রাখার সুযোগ হারিয়েছেন।
- দগ্ধদের মাঝে অনেকেই ৬০-৯৫% পর্যন্ত দগ্ধ, যা একান্তই জীবন-সংকটজনক।
- ICU-তে এমন রোগীদের মানসিক ও দেহগত নানাবিধ জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সমর্থন ও পরবর্তী পদক্ষেপ:
- পরিবার এবং সমাজের সমর্থন: ফলেড্রেনার, দুর্বল রোগী ও অল্পবয়স্কদের পরিবারগুলোকে দ্রুত মানসিক সহায়তা, অর্থনৈতিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত।
- চিকিৎসা ও হাসপাতাল সক্ষমতা: দগ্ধদের জন্য পরবর্তী পর্যায়ে দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা সম্ভবনায় হাসপাতালের প্রস্তুতি, যথাযথ ওষুধ এবং জরুরি সার্জারি পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।
- দুর্ঘটনার তদন্ত ও দায়মুক্তি: দুর্ঘটনার কারণ বিজ্ঞ কারিগরি তদন্তে নিশ্চিত করা এবং অব্যবস্থাকারীদের বিরুদ্ধে ততক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ ঘটনা না ঘটে।
মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশু জটিল দগ্ধ হয়ে থাকলেও এর পরিমান অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার আগে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। একটি সদ-ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সকলের সচেতনতা ও মানবিক সহানুভূতি অপরিহার্য।
Leave a Reply