অনলাইন রিটার্ন (e-Return) জমা দিতে সাধারণত কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না, শুধু তথ্য (information) দিতে হয়। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
অনলাইন রিটার্নে কী লাগে:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
অনলাইনে রিটার্ন ফাইল করার সময় বিভিন্ন ঘরে (field) তথ্য বসাতে হয়। এই তথ্যগুলো আপনি আপনার কাগজপত্র দেখে লিখবেন।
১) ব্যক্তিগত তথ্য:
নাম (NID অনুযায়ী)
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর
- TIN নম্বর
- ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর, ইমেইল
২) আয় সংক্রান্ত তথ্য:
আপনি যে উৎস থেকে আয় করেন, সেই অনুযায়ী তথ্য দিতে হয়—
চাকরিজীবী হলে
- মোট বার্ষিক বেতন
- বেসিক, বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা (সংক্ষেপে মোট হিসাব)
- উৎসে কর কর্তনের পরিমাণ (যদি কেটে থাকে)
ব্যবসায়ী হলে
অন্যান্য আয়
- ভাড়া আয়
- ব্যাংক সুদ
- কৃষি আয় (থাকলে)
পে–স্লিপ, সনদ আপলোড নয়, শুধু অংক লিখতে হয়।
৩) কর ছাড়/রিবেট সংক্রান্ত তথ্য:
যেমন—
- জীবন বীমা প্রিমিয়াম
- DPS / সঞ্চয়পত্র
- প্রভিডেন্ট ফান্ড
- দান (অনুমোদিত হলে)
কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন, সেই অংক লিখবেন।
৪) সম্পদের তথ্য (Asset Statement):
- ব্যাংকে জমা টাকা
- জমি/ফ্ল্যাটের মূল্য
- গাড়ি (থাকলে)
- ব্যবসার পুঁজি
রিটার্ন দাখিলের সময়
কোনো কাগজ স্ক্যান/আপলোড লাগে না
শুধু তথ্য দিতে হয়
ভবিষ্যতে দরকার হতে পারে:
- ট্যাক্স অফিস চাইলে যাচাইয়ের জন্য কাগজ দেখাতে হতে পারে।
- তাই পে-স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিনিয়োগের রসিদ নিজের কাছে রাখা জরুর।
-
অনলাইন রিটার্নের সুবিধা:
- ঘরে বসেই জমা
- সময় কম লাগে
- লাইনে দাঁড়াতে হয় না
- ভুল কম হয় (সিস্টেম হিসাব করে দেয়)।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply