জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সম্প্রতি বলেছেন যে আগামী বছর (২০২৬ সালে) থেকে এমন একটি ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে, যাতে ভ্যাট (মুল্য সংযোজন কর) নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। অর্থাৎ, ব্যবসা শুরু করার জন্য ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হবে।
মূল বক্তব্য ও কারণ:
অস্থায়ীবাবেআইনিব্যবসানিয়ন্ত্রণ
বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। এগুলো রাজস্ব সংগ্রহে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না এবং বাজারে অপ্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান সৃষ্টি করছে। পরবর্তী বছর থেকে সব ব্যবসা কেউ ছাড় পাবে না যারা ভ্যাট নিবন্ধন করবে না তারা ব্যবসা করতে পারবে না।
ভ্যাটনেটবিস্তারওরাজস্বসংগ্রহবৃদ্ধি:
এনবিআর এর লক্ষ্য হলো ভ্যাট নেট অনেক বড় করা, যাতে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে যায়। বর্তমানে মাত্র খুব কম ব্যবসাই ভ্যাট নেটের আওতায় আছে, তাই এটি বাধ্যতামূলক করে দেয়া এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
ভ্যাট নিবন্ধনের প্রচলিত পরিসংখ্যান:
দেশে মাত্র কয়েক লাখ ব্যবসাই ভ্যাটের আওতায় আছে মোট প্রায় ৩০ কোটি ব্যবসার মধ্যে মাত্র প্রায় ২ শতাংশই নিবন্ধিত ছিল বলে পূর্বে এনবিআর জানিয়েছিল।এটি দেখায় বর্তমান ভ্যাট নেট কতটা ছোট এবং প্রয়োজনীয়
সম্ভাব্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও পরিবর্তন:
এনবিআর ইতোমধ্যেই ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে এবং টার্গেট হিসেবে ৩০-৪০ লাখ ব্যবসা ভ্যাট নিবন্ধনে আনার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে কার্যক্রমও ইতোমধ্যেই সপ্তাহব্যাপী আলোচনা হয়েছে।
ব্যাংকিং তথ্যসহ ই-রিটার্ন ব্যবস্থা আনার উদ্যোগ চলছে, যাতে করদাতাদের তথ্য সঠিকভাবে ট্র্যাক করা যায়।
এর ফলে ভ্যাট নেটের আওতায় ব্যবসা পেতে সহজ হবে এবং ভ্যাট ফাঁকি কমবে। এনবিআর আশা করছে, দীর্ঘমেয়াদে এর মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা খাতে আরও স্বচ্ছতা আসবে।
যারা ভ্যাট নিবন্ধন করতে বিলম্ব করবে বা করবে না, তারা কেন্দ্র সাজানো ব্যবসায়িক পরিবেশে প্রতিযোগিতায় পেছনে পড়ে যাবে এবং আইনী জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।
সংক্ষপে:
Leave a Reply