এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান সম্প্রতি বলেছেন যে রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন করদাতাদের ‘জুলুম বা নিপীড়ন’ নয় বরং কর-ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি মনে করেন, সঠিকভাবে কর-ফাঁকি রোধ ও রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক, এবং সে জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
কর-ফাঁকিবাজ শনাক্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্য:
এনবিআরের চলমান উদ্যোগ ও বাস্তব প্রয়োগ:
এনবিআর ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যাতে কর-ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করা ও কর পতাকা উজ্জ্বল করা সহজ হয়:
1. বর্ধিত গোয়েন্দা ও তদন্ত কার্যক্রম:
এনবিআর বিভিন্ন ট্যাক্স জোনে ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে এবং সেলগুলোকে শক্তিশালী করে রাজস্ব ফাঁকি এবং আয় ছাড়া করা সম্পদের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এটি শুধু ফাঁকি রোধেই নয়, বরং গোপন সম্পদ ও ট্যাক্স ফাঁকি করা বর্ণবাদীদের শনাক্ত করতেও সহায়তা করছে।
2. ডিজিটাল ডেটা ও তথ্য সংযুক্তি:
এনবিআর সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যভান্ডার যেমন পেমেন্ট গেটওয়ে, ব্যাংকিং তথ্য এবং অন্যান্য সরকারি ডেটাবেসকে সংযুক্ত করার একটি বড় ডিজিটাল উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে করপ্রদান অদৃশ্য বা গোপন তথ্যও সহজে পায় ও মূল্যায়ন করা যায়।
3. ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধি ও কর–নেট সম্প্রসারণ:
ডিসেম্বরে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে এক লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে, যাতে ভ্যাট নেট আরো বিস্তৃত হয় এবং ফলে ফাঁকিবাজদের সংখ্যা কমে।
পরিস্থিতি ও পরিপ্রেক্ষিত:
Leave a Reply