মো. আবদুর রহমান খান বর্তমানে National Board of Revenue (NBR)-র চেয়ারম্যান তার “রাজস্ব আহরণে করদাতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে” বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক পটভূমি, প্রস্তাবনা ও ব্যাখ্যার সারসংক্ষেপ নিচে আলোচনা করা হল:
বক্তব্যে মূল পয়েন্ট:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
কর আদায়কে “মধু আহরণের মতো” বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ করদাতারা যদি নিয়মিত, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে রাজস্ব দান করতে পারেন, তাহলে কর দিয়ে তোলা রাজস্ব দেশের জন্য মিষ্টি ফল দেবে। একইসঙ্গে, করদাতাদের প্রতি জুলুম বা হয়রানি করলে “সোনার ডিম পাড়া হাঁস” (যারা রাজস্ব উৎপাদন করছে) মেরে ফেললে বরং রাজস্ব ধারাবাহিকভাবে বেড়াবে না। তিনি সতর্ক করেছেন, করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ, জুলুম বা হয়রানি দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কর প্রশাসনকে করদাতাদের প্রতি সদয়, ন্যায্য এবং জনগণের বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
কেন এমন মন্তব্য:
- NBR–র নেতৃত্ব নিয়ে নিপীড়ন, অস্বচ্ছতা, জটিল আইন-রূপায়ণ ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংশয় ও অভিযোগ রয়েছে। NBR–র কর্মকর্তাদের একাংশ “field-level harassment” বা “অতিরিক্ত নির্ধারণ, রে’ড, জরিমানা” ইত্যাদির বিষয়ে উদ্বেগ জানায়। একাধিকবার NBR–র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে “ডিজিটালাইজেশন” আইন, রিটার্ন, ভ্যাট/কর হিসাব, রিটার্ন-জমা, রিফান্ড সবকিছু যেন স্বয়ংক্রিয় ও স্বচ্ছ হয়।
- বর্তমানে রাজস্ব আহরণের কাঠামোয় আয়কর (direct tax)–তে “লিকেজ” রয়েছে, এবং ভ্যাট ও কাস্টমসের ওপর অতিরিক্ত ভর তৈরি হয়েছে। NBR চেষ্টা করছে আয়কর ভ্যাট-ভিত্তিক রাজস্বের অংশ বাড়াতে, এবং ভ্যাট ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বচ্ছ করতে।
প্রস্তাবিত পথ ও সংস্কার:
মো. আবদুর রহমান খান নিম্নলিখিত উদ্যোগ ও দৃষ্টিকোণ উত্থাপন করেছেন:
- করদাতাদের “নিবregistration → সঠিক করদায়িত্ব → সময়মতো রিটার্ন-জমা → স্বচ্ছ রিফান্ড / কর দায়মুক্তি” প্রক্রিয়া সহজ ও নির্ভরযোগ্য করতে হবে। বর্তমান জটিল ভ্যাট আইন ও ভ্যাট রেটের বহুগুণতা (multiple rates) সরিয়ে একটি “একক রেট (single VAT rate)” প্রণয়ন করতে চান। এতে ভ্যাট ব্যবস্থাপনাকে সহজ ও অটোমেশন উপযোগী করা যাবে।
- করদাতাদের ওপর শুধু নীচু পর্যায়ের ভ্যাট–কাস্টমস নয়, ভ্যাট–আয়কর–কাস্টমস সবার জন্য ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা ও সমভাবে মনোযোগ। যারা নিয়ম মেনে দেন, তাদেরই উৎসাহ দেওয়া হবে, যাতে তারা রাজস্ব সিস্টেমে অনায়াসে যুক্ত হয়।
কেন তিনি “করদাতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে:
যদি কর বাধ্যবাধকতা শুধু চাপ, হয়রানি বা জুলুমের মাধ্যমে ধরা হয়, তাহলে অনেক করদাতা সিস্টেম থেকে দূরে সরে যাবে যা রাজস্ব আয়কে স্থিতিশীল করতে পারবে না।
- যদি কর দেয়ার পরও করদাতারা Government/ প্রশাসন থেকে সেবা বা স্বচ্ছতা না পায়, তাহলে করদানের মানসিকতা ক্ষুন্ন হবে ফলে compliance কমে যাবে।
- ডিজিটালাইজেশন ও সহজ প্রক্রিয়ার অভাব, আইন-জটিলতা এবং আইন-রূপায়ণের অসংহতি দেশে করদাতাদের জন্য ঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
কর সংগ্রহ + করদাতা সুরক্ষা:
মো. আবদুর রহমান খানের যুক্তি হলো রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু করদাতাদের অবহেলা বা হয়রানি করেই সাফল্য হবে না। বরং, করদাতা যদি আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা পায়, প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তবেই কর দানে উৎসাহ বাড়বে, compliance উন্নত হবে, এবং রাজস্ব সংগ্রহ পণ্ঠিত হবে।
আমরা যদি এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি যাতে রাজস্ব বাড়ে এবং করদাতারা প্রণোদিত অনুভব করে তাহলে করদানের কারণে দেশের অর্থনীতি ও জনগণের সেবাই ফল পাবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply