আগামী বছর থেকে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না: এনবিআর চেয়ারম্যান
-
Update Time :
Wednesday, December 10, 2025
-
111 Time View
কি বলেছে এনবিআর:
- এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, “আগামী বছর থেকে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা করতে পারবেনা।”
- তিনি বলছেন, দেশে বর্তমানে মাত্র ≈ ৬.৪৪ লাখ (৬৪৪,০০০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট-নিবন্ধিত, যা মোট ব্যবসার তুলনায় “একেবারেই নগণ্য”।
- এনবিআর আগামী ১–২ বছরের মধ্যে ৩০–৪০ লাখ (বা ৩–৪ মিলিয়ন) ব্যবসাকে ভ্যাট নেটের আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে।
- চালু করা হবে এমন “নতুন মেকানিজম / পদ্ধতি” যার ফলে নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না।
- এছাড়া, এনবিআর এই উদ্যোগ পেছনে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে কর রূপান্তর: আমদানি নির্ভর রাজস্বকে ভ্যাট ও অভ্যন্তরীণ করের দিকে ঘোরানো, অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা ও নিয়মিত করসংগ্রহ নিশ্চিত করা।
আবেদনের সময় এবং ধাপ:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- এই সিদ্ধান্তটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘোষণা করা হয়,
- অর্থাৎ,“আগামী বছর” বলতে বোঝানো হচ্ছে ২০২৬ সাল ২০২৬ থেকে এই ন্যূনতম ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে।
- বিশদভাবে, এনবিআর ডিসেম্বর ১০–১৫ তারিখ “ভ্যাট দিবস / ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৫” পালন করছে; এই সময় পর্যন্ত একটি বিশেষ নিবন্ধন প্রচার শুরু হয়েছে। এই মাসেই (ডিসেম্বরে) ১ লাখ নতুন ব্যবসার জন্য নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
- কেন এই সিদ্ধান্ত:
- এনবিআর প্রধান কারণ হিসেবে বলেছে যে, বর্তমানে ভ্যাট-নেট খুবই সীমিত প্রকৃত ব্যবসা-সংখ্যার তুলনায় মাত্র কয়েক লাখ ভ্যাট পেয়ার রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে, ভ্যাট ও আয়-করকে রাজস্ব সংগ্রহে প্রধান ভিত্তি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমদানি নির্ভর রাজস্ব কমিয়ে অভ্যন্তরীণ করসিস্টেমকে শক্তিশালী করা হবে।
- নতুন, ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় (online/ automated) ভ্যাট রিটার্ন, রিফান্ড পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে, যা করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য প্রভাব এবং সম্বাব্য প্রতিবন্ধকতা:
- যাঁদের এখনও ভ্যাট নিবন্ধন নেই অর্থাৎ প্রচুর ছোট/মাঝারি ব্যবসায়ী তাঁদের জন্য দ্রুত নিবন্ধন বা আইনগত ঝুঁকি।
- নিবন্ধন বৃদ্ধির জন্য জমা, নজরদারি এবং নিয়মিত রিটার্ন-ফাইলিং-এর বোঝা বাড়বে।
- এনবিআর-র ডিজিটাল সিস্টেম (online filing, e-refund, e-audit) চালু হওয়ায় কাঠামোগত উন্নতি, তবে প্রযুক্তি-নির্ভরতার কারণে কারো কারো জন্য ঝামেলা বা মানসিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
- এনবিআর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ৩–৪ মিলিয়ন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-নিবন্ধনে আনতে চায়। তাদের পরিকল্পনা: নিবন্ধন, রিটার্ন ফাইলিং, রিফান্ড, ই-ফোরম ইত্যাদি প্রক্রিয়া ডিজিটাল করে করদাতাদের কাজ সহজ করা।
- পাশাপাশি, ভ্যাট নেট সম্প্রসারণ না হলে, রাজস্ব ঘাটতি ও কর ফাঁকি বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে, যা বাজেট ও অর্থনীতির জন্য অস্বাস্থ্যকর সাংকেতিক।
আপনার জন্য কি করার পরামর্শ:
- আপনি যদি ব্যবসা করেন এবং এখনও ভ্যাট-নিবন্ধন না করে থাকেন এখনই নিবন্ধনের দিকে নজর দিন।
- আপনার সঙ্গে যুক্ত যে আয় বা লেনদেন থাকে, সেটা রেকর্ড রাখুন; digital filing-এর জন্য প্রয়োজন হবে।
- যদি আপনি ছোট বা গৃহশিল্প/কুটির শিল্পে (cottage industry) থাকেন, তবে খেয়াল রাখুন: অতীতে কিছু কুটির শিল্পকে ভ্যাট নিবন্ধন থেকে অব্যাহতি দাওয়া হতো তবে নতুন নির্দেশনায় কেমন সিদ্ধান্ত হবে, সে বিষয়ে অবহিত থাকুন।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply