গোপালগঞ্জে এনসিপি-র (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সমাবেশে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ নেতৃত্বে যে স্লোগান‑মুখর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা বেশ জোরালো ও রাজনৈতিকভাবে উচ্চস্বরে। গোপালগঞ্জে পৌছে প্রথমে মঞ্চে উঠে হাতে মাইক নিয়ে কথা বলেন উত্তরাঞ্চলরে মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশ মুখর করেন দক্ষিণাঞ্চল মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।  এ সময় দলে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন , দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও সারোয়ার তুষারসহ অনেকে।

 মূল স্লোগান ও বক্তব্য:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

১. “মর‌্যাদার জন্য মঞ্চে” :

গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই ২০২৫ দুপুরে সারজিস‑হাসনাত‑নাহিদসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একটি “মার্চ টু গোপালগঞ্জ” কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশে উপস্থিত হন ।

২. “মার্কেটিং নয়, বিচার চাই” – সাবেক সেনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে

তাদের ভাষণে রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচনী জবাবদিহির দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল। বিভিন্ন সমাবেশে “খুনী হাসিনার ফাঁসি চাই”, “ফাঁসি ফাঁসি” প্রভৃতি আগ্রাসী স্লোগান দেয়া হয়েছে ।

৩. “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ঘর ভাঙ্গা”

গাজীপুর বা অন্যত্র বিক্ষোভে “জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো”, “ছাত্রলীগের গদিতে আগুন জ্বালো”, “আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে” —– এসব স্লোগান দিয়ে তারা দলটির বিরুদ্ধে রোষ প্রকাশ করেন ।

৪. “তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার”

ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রাজাকার’ মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা একই ধুইয়ে “তুমি কে আমি কে; রাজাকার রাজাকার” স্লোগান দিয়ে অর্থবহ প্রতিবাদ করেছেন ।

৫. “মরো স্বাধীনতা চাই” – বিচারহীনতা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ

সারজিস হুঙ্কার দিয়েছেন: “মুক্তিযুদ্ধের নামে হয়রানি হবে না। murderer Hasina syndicate গড়ে তুলেছে, জনগণ চাই সমতা।

• সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে তারা উল্লেখ করেছেন, “জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি” ও “Listeners বলছেন আমাদের ৭ দাবি যুক্তিসঙ্গত” ।
• মজবুত ন্যূনতম দাবির মধ্যে রয়েছে দালাল এবং faisseur-fascist খুনিগণের বিচার, আহতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, শহীদ‑শোকাহতদের জাতীয় স্বীকৃতি।

• গোপালগঞ্জ অঙ্গনে তারা “নীরব বিরোধের” পরিবর্তে সরাসরি ও উগ্র প্রতিবাদে পরিবর্তন এনেছেন।
• স্লোগানগুলো মূলত “আওয়ামী লীগের বিদায় ও বিচার” এমন এক কাম্য কাঠামো তৈরি করেছে, যেখানে “Sheikh Hasina বিচারপ্রার্থী”, “রাজাকার‑খুনি” অভিযোগ খাটিয়ে জনগণের সামনে বৈষম্যের প্রতিবাদ জানান হচ্ছে।
• সমাবেশে জনতা স্লোগান দিয়ে সমর্থন প্রদর্শন করেছে, তবে কিছু পর্যবেক্ষক এটিকে “রাজনৈতিক স্টান্ট” ও “ভীনরাজনৈতিক চক্রান্ত” বলেও সৌজন্যহীনভাবে দেখছেন ।

গোপালগঞ্জে সারজিস ও হাসনাতের নেতৃত্বে স্লোগানগুলো রাজনৈতিকভাবে জোরালো, উগ্র এবং সরাসরি। তারা মূলত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি বিচার ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন “খুনী, রাজাকার, ফাঁসি চাই।” ঐ সব স্লোগান বহুবিধ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে: এটাও আন্দোলন, না কি রাজনৈতিক নাটক?

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী