1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 28, 2025, 2:54 pm

যে ১৫ কারণে করদাতার আয়কর রিটার্নের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়

  • Update Time : Thursday, November 27, 2025
  • 49 Time View

 করদাতার আয়কর রিটার্নের তথ্য কেন কোন কারণে যাচাইবাছাই (Verification / Scrutiny) করা হয় তার ১৫টি বিস্তারিত কারণ দেওয়া হলো। এগুলো সাধারণভাবে আয়কর কর্তৃপক্ষ (National Board of Revenue – NBR) যেসব ঝুঁকির ভিত্তিতে রিটার্ন যাচাই করতে পারে, সেই বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করে।

করদাতার আয়কর রিটার্ন যাচাইবাছাইয়ের ১৫টি কারণ:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

. আয় ব্যয়ের অস্বাভাবিক অমিল:

রিটার্নে দেখানো মোট আয় ও ব্যয় বা সম্পদের সঙ্গে স্পষ্ট অমিল থাকলে কর কর্তৃপক্ষ রিটার্ন পরীক্ষা করে।

. উৎসে কর কাটা (TDS) জমাকৃত করের অসঙ্গতি:

TDS সার্টিফিকেটে যে কর কাটা হয়েছে তা রিটার্নে দেখানো করের সঙ্গে মিল না থাকলে যাচাই হয়।

. বড় অঙ্কের অপ্রকাশিত বা সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন:

ব্যাংক স্টেটমেন্টে বড় অঙ্কের জমা বা উত্তোলন দেখা গেলে যা রিটার্নে উল্লেখ নেই।

. হঠাৎ সম্পদ বৃদ্ধি বা Net Worth বৃদ্ধি:

বার্ষিক আয় খুব কম দেখালেও স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ নাটকীয়ভাবে বাড়লে।

. ব্যবসার বিক্রয় (Turnover) কম দেখানো:

VAT, ব্যাংক লেনদেন বা অন্য উৎসে ব্যবসার আয়ের প্রমাণ বেশি থাকলেও রিটার্নে কম দেখানো হলে।

. পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় আয়ের অস্বাভাবিক পরিবর্তন:

আকস্মিকভাবে আয়ের বড় হ্রাস বা বৃদ্ধি দেখা গেলে তার যৌক্তিকতা যাচাই করা হয়।

. ভাড়ার আয়, কমিশন, ফি বা অন্যান্য আয়ের অসংগতি:

বাসা/দোকান/ফ্ল্যাটের ভাড়া বা কমিশন/ফ্রিল্যান্স আয়ের তথ্য বিভিন্ন উৎসে পাওয়া গেলে কিন্তু রিটার্নে উল্লেখ না করলে।

. কর ছাড় (Tax Credit/Rebate) অযথা বেশি দাবি:

দান, বিনিয়োগ বা সেভিংসে অবৈধ বা অতিরিক্ত ছাড় দাবি করলে।

. করযোগ্য উপহার (Gift), দান বা ঋণের অসঙ্গতি:

উপহার, দান বা ঋণ হিসেবে দেখানো অঙ্কের উৎস সন্দেহজনক হলে।

১০. নতুন ব্যবসা বা পেশা শুরু করে আয় কম দেখানো:

ব্যবসায় উচ্চ লেনদেন থাকার পরও আয় খুব কম দেখানো হলে।

১১. বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি বিলাসী খরচ:

জীবনযাত্রা ও রিটার্নে দেখানো আয়ের মধ্যে অসঙ্গতি থাকলে।

১২. ঝুঁকিভিত্তিক (Risk-based) অডিট সিস্টেমে নির্বাচন:

NBR-এর অটোমেটেড Risk-Based Audit System উচ্চ ঝুঁকিতে চিহ্নিত করলে।

১৩. অনলাইন তথ্য উৎস (e-TIN, e-TDS, ব্যাংক, NID) এর সঙ্গে রিটার্ন না মেলা:

বিভিন্ন ডিজিটাল তথ্যভান্ডারের সঙ্গে রিটার্নের হিসাব মিল না থাকলে।

১৪. আগের বছরের অডিট/তদন্তে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে:

আগের ভুল, গোপন তথ্য, অনিয়ম থাকলে পরের বছরগুলোতে বেশি নজর থাকে।

১৫. এলোমেলো নির্বাচন / Random Audit:

এলোমেলোভাবে কিছু রিটার্নও পরীক্ষা করা হয় এটি সাধারণ প্রক্রিয়া।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews