বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে বড় বাধা নিবন্ধন ফি ও অগ্রিম কর
-
Update Time :
Saturday, November 22, 2025
-
36 Time View
বৈদ্যুতিক গাড়ি (EV) বিক্রিতে “নিবন্ধন ফি” ও “অগ্রিম কর (Advance Income Tax, AIT)” বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলাম বর্তমান সমস্যাগুলো নিচে আলোচনা করা হল:
বাংলাদেশে EV-বিক্রিতে বড় বাধা: নিবন্ধন ফি ও অগ্রিম কর:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- নিবন্ধন ফি (Registration Fee):
- BRTA (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) EV-এর জন্য নিবন্ধন-ফি নির্ধারণ করেছিল এমনভাবে যে এটি খুব বেশি হতে পারে।
- একটি বড় কারণ হলো BRTA “কিলোওয়াট (kW)” ক্ষমতার ভিত্তিতে EV-এর নিবন্ধন-ফি মাপছে, এবং তারা ধরেছে 1 kW = 20 cc (cubic centimetre) হিসেবে হিসাব করে।
- এর ফলে, অনেক EV-মডেলের জন্য নিবন্ধন-ফি প্রায় এমন স্তরে চলে যাচ্ছে যা “৩,০০০ সিসির একটি পারம்பরিক গাড়ির সাথে তুলনীয়” হিসাব দেওয়া হচ্ছে।
- প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, EV-এর নিবন্ধন ফি প্রতিটিতে ন্যূনতম Tk ৩–৪ লাখ হতে পারে।
- এই মাত্রার নিবন্ধন-ফি EV কেনার প্রাথমিক ব্যয়কে অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার ফলে কিছু সম্ভাব্য গ্রাহক পিছিয়ে আসছেন।
- অগ্রিম আয়কর (Advance Income Tax, AIT):
- EV-এর ক্ষেত্রে AIT আরোপ করার জন্য NBR-BRTA চুক্তি আছে, তবে সমস্যা হয়েছে ভাড়া মাপার কনভার্শনে। BRTA প্রস্তাব করেছে যেখানে 1 কিলোওয়াটকে 20 cc সমতুল্য ধরা হবে।
- বিভিন্ন kW ক্যাটাগরিতে AIT-এর রেট প্রস্তাবিত বা প্রযোজ্য আছে — উদাহরণস্বরূপ:
- সর্বনিম্ন পরিসর: 75 kW পর্যন্ত EV-এর জন্য AIT Tk 25,000।
- 75–100 kW: Tk 50,000
- 100–125 kW: Tk 75,000
- 125–150 kW: Tk 1,25,000
- 150–175 kW: Tk 1,50,000
- 175 kW-এর ওপরে: Tk 2,00,000
- কিছু সংশ্লিষ্টরা (BRTA ইত্যাদি) দাবি করছেন এগুলো “পারি মাত্রায় বেশি” এবং পরিবেশগত সুবিধার কথা বিবেচনায় AIT কমানো উচিত।
- সত্যিই, BRTA কিছু প্রস্তাব দিয়েছে AIT-এর ৫০% কমানোর জন্য, এবং EV-এর ওপর সারচার্জ (surcharge) কমানোর প্রস্তাবও এসেছে।
- অন্যান্য কর ও দায়:
- যদিও নিবন্ধন ও AIT বড় সমস্যা, তবে শুধু यही নয়: আমদানি শুল্ক (duties)ও EV-এর ক্ষেত্রে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রতিবেদন বলছে সাধারণ EV-গাড়ির জন্য শুল্ক প্রায় ৮৯%, যা খুবই বেশি।
- তবে সাম্প্রতিক একটি খবর বলেছে, সরকার “লাল প্রণোদনা প্যাকেজ” তৈরি করছে স্থানীয়ভাবে EV উৎপাদন বাড়াতে, এবং সেই প্রেক্ষাপটে আমদানি কর কমানোর পরিকল্পনা চলছে।
সমস্যা এবং ফলাফল:
- উচ্চ প্রারম্ভিক খরচ: নিবন্ধন ফি + AIT একসাথে মিলিয়ে EV-এর হাতে ধরার সময় ব্যয় অনেক বেশি হতে পারে, যা অনেক গ্রাহকের জন্য “প্রারম্ভিক বাধা” হয়ে দাঁড়ায়।
- ক্রেতাদের অনিচ্ছা: যদিও EV পরিচালনায় খরচ (বিদ্যুৎ চার্জিং) তুলনামূলক কম হতে পারে, কিন্তু ক্রেতারা শুরুতেই যে উদ্বোধনী ব্যয়টি দিতে হবে, তা তাদের পক্ষে বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
- বাজার সম্প্রসারণে বাধা: আমদাতারা ও বিক্রেতারা বলছেন, এই কর ও ফি কমানো না হলে EV বিক্রি দ্রুত বাড়বে না।
- নিকুঞ্জ পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণ: সরকারের দিকে থেকে ইতিমধ্যে কিছু প্রস্তাব এসেছে কর কমানোর জন্য, যেমন AIT-এর ৫০% কমানো, EV-এর সারচার্জ কমানো ইত্যাদি।
- নীতিগত সুযোগ: যদি কর ও ফি কমিয়ে দেওয়া হয়, সেটা EV গ্রহণ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে এবং পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকেও সুফল দেবে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply