নির্দিষ্ট কিছু করদাতা ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির সব করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবার ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে হবে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। এক্ষেত্রে সময় বাকি আছে আর মাত্র ১০ দিন।

এখন ১০ দিন বাকি থাকার সময় যা জানা জরুরি:

1. ডেডলাইন এবং আইনগত সময়সীমা:
   • NBR (বাংলাদেশে) অনুযায়ী, ব্যক্তিদের জন্য “Tax Day” বা শেষ তারিখ হলো ৩০ নভেম্বর।
   • যদি আজ ১০ দিন বাকি বলা হচ্ছে, তাহলে সম্ভবত বাকি সময় ৩০ নভেম্বরের দিকে আছে।
   • যদিও অনলাইনে (e-Return) ফাইলিং “সারা বছর”ও করা যায়, কিন্তু ৩০ নভেম্বরের পর দাখিল করলে কিছু ডিস্যাডভান্টেজ থাকতে পারে।
2. জরিমানা ও সুদ:
   • দেরিতে রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে NBR ২% প্রতি মাসের হারে সুদ ধার্য করতে পারে, যা বকেয়া করের ওপর হিসাব করা হবে।
   • এছাড়া আইনে দায়িত্ববাহী কর্মকর্তা “নন-ফাইলিং” এর জন্য একটি জরিমানা আরোপ করতে পারেন: KPMG তথ্য অনুযায়ী, এটি হতে পারে “10% of the last assessed tax” বা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা হতে পারে “প্রতিদিন ৫০ টাকা” অতিরিক্ত জরিমানাও হতে পারে।
   • আরও আছে: ACE Advisory বলেছে যে দেরিতে দাখিল করলে “25% of total tax payable” জরিমানা হতে পারে (বিশেষ ক্ষেত্রে)।
3. রিবেট এবং সুবিধা হারানো:
   • যদি দেরিতে রিটার্ন দাখিল করা হয়, তাহলে নিয়োগ বা বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট রিবেট বা ছাড় পাওয়া নাও যেতে পারে। New Age রিপোর্ট অনুযায়ী, দেরি দাখিলকারীরা “investment rebate” পেতে নাও পারে।
   • এছাড়া অন্য কর সুবিধা বা ক্লেইম করা যাওয়া কিছু ছাড় (deduction) হারাতে হতে পারে, কারণ সময়মতো দাখিল না করলে আইনি বা প্রশাসনিক বাধা থাকতে পারে।
4. সহজ রিটার্ন অগ্রাধিকার:
   • যেহেতু মাত্র ১০ দিন বাকি আছে, রিটার্ন যত দ্রুত সম্ভব দাখিল করা বাঞ্ছনীয়। অপেক্ষা না করে আজই সব দরকারি তথ্য (ইনকাম, ব্যয়, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, TIN ইত্যাদি) সংগ্রহ করা শুরু করুন।
   • অনলাইন পোর্টাল (e-Return) ব্যবহার করা অনেক সুবিধাজনক, কারণ সাবমিশন, প্রমাণ (Acknowledgement) এবং পেপারও কম।
   • দাখিল করার পর “Acknowledgement Receipt” বা সাবমিশন প্রুফ রাখুন  ভবিষ্যতে সমস্যা হলে কাজে দেবে।
5. রিস্ক এবং পরবর্তী কর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া:
   • দেরি এবং জরিমানার কারণে আপনার মোট ব্যয় বাড়তে পারে।
   • যদি রিটার্ন ভুল তথ্য দিয়ে দাখিল করা হয়, পরে সংশোধন করা দরকার হতে পারে  ভুল থাকলে ভবিষ্যতে অডিট (tax audit) বা কর অফিস থেকে ব্যাখ্যার অনুরোধ আসতে পারে।
   • যেকোনো দাখিলের সময় আপনার কাগজপত্র (ইনকাম প্রমাণ, ব্যয় প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট) ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন  পরবর্তীতে এই গুলো প্রুফ হিসেবে কাজে আসতে পারে।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী