৮২% সরকারি কর্মচারী আয়কর থেকে মুক্ত
-
Update Time :
Thursday, November 20, 2025
-
109 Time View
বিশ্লেষণ: “৮২% সরকারি কর্মচারী করমুক্ত”:
- ৮২% সংখ্যা কিভাবে এসেছে:
- একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, “শুধু মূল বেতন করযোগ্য” থাকার কারণে সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ৮২ শতাংশ আয়কর দেয় না বা খুব কম দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাগুলো করমুক্ত থাকায় তাদের করযোগ্য আয় (taxable income) অনেক কম।
- অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে “কর ন্যায্যতার অভাব” বা “দ্বৈতনীতি” বলছেন, কারণ বেসরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পুরো বেতন-ভাতার ওপর করযোগ্যতা হয়ে থাকে, কিন্তু সরকারি ক্ষেত্রে অনেক অংশ করমুক্ত থাকে।
- করযোগ্য আয় এবং কর–কাটার সীমা (নতুন নির্দেশ):
- হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (CGA) একটি নির্দেশ দিয়েছে: যাদের মাসিক মূল বেতন একটি নির্দিষ্ট সীমার ওপরে, তাদের বেতন থেকে “উৎসে কর” (TDS) কাটা বাধ্যতামূলক।
- সেই সীমা হল: পুরুষ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মাসে ৳ ২৬,৭৮৫ বা তার বেশি মূল বেতন, এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৳ ৩০,৩৫৭ বা তার বেশি।
- নির্দেশনায় বলা হয়েছে ট্রেজারি রুলস (SR-১২৫) অনুযায়ী কর্তনের দায়িত্ব “উত্তোলনকারী” অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা অফিস এর ওপর থাকবে।
- করমুক্ত ভাতা ও সুবিধার বিস্তৃতি:
- এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)-এর নতুন নির্দেশিকা (২০২৫-২৬) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ৪২ ধরণের আয় করমukti করা হয়েছে।
- করমুক্ত ভাতাগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, প্রশিক্ষণ ভাতা, বিশেষ ভাতা ইত্যাদি।
- এছাড়া অবসরগ্রহণের সময় লাম্প-গ্রান্ট (অবরুদ্ধ এককালীন অর্থ) করমুক্ত রাখার কথাও নির্দেশিকায় রয়েছে।
- কিন্তু করযোগ্য হিসেবে “মূল বেতন”, “বোনাস” এবং উৎসব ভাতা ধরা হবে, অর্থাৎ সবই কর-মুক্ত নয়।
- রাজস্ব প্রভাব ও সমালোচনা:
- প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশন প্রদান করতে প্রতি বছর সরকারের ব্যয় প্রায় ৮৪,৬৪৮ কোটি টাকা (৮৪ হাজার ৬৪৮ কোটি) দরকার।
- কিন্তু কর আদায় খুব কম হয়ে থাকে: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের থেকে সরকারি কোষাগারে গড়ে মাসে মাত্র হাজার-হাজার টাকা কর আসে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই অবস্থা “ভুল উৎস নীতির (policy) ফল” এবং কর ন্যায্যতা (tax equity) প্রশ্ন তোলে মানে, কেন সরকারি কর্মচারীদের জন্য কর-নির্ভর কাঠামো অন্য যারা বেসরকারি চাকরিজীবী তাদের থেকে আলাদা।
- এমনও বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী (যেমন IMF-এর সুপারিশ) ভাতাগুলোর ওপর করোপেক্ষা বাড়ানো উচিত, কিন্তু কিছু পরিবর্তন যথেষ্ট ত্বরান্বিত হয়নি।
- সাম্প্রতিক আপডেট: পরিবর্তন আসছে:
- নতুন নির্দেশনায় (২০২৫) যে “উৎসে কর কর্তন বাধ্যতামূলক” ধারা এসেছে, সেটি সম্ভবত কিছু উচ্চ-বেতনপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে কর দায়িত্ব বাড়াবে।
- অর্থাৎ, পুরাতন “৮২% করমুক্ত” অবস্থা হয়ত ধীরে ধীরে বদলাতে পারে, বিশেষত যাদের মূল বেতন বেশি।
বিশ্লেষণ ও গুরুত্ব:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
কম করযোগ্য আয়, কিন্তু বড় ভাতা: সরকারি কর্মচারীদের করযোগ্য আয় মূলত “মূল বেতন” দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকায় কর বোঝা অনেক কম হতে পারে, কিন্তু তাদের ভাতা ও সুবিধাগুলো (যা বড় অঙ্কে হতে পারে) করমুক্ত থাকার কারণে এটি একটি বড় রাজস্ব ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে তাদের সমালোচনা করা হচ্ছে।
- ন্যায্যতা (Equity): অনেক বিশ্লেষক বলছেন, কর ন্যায্যতার দিক থেকে এটি সমস্যা কারণ অন্য যারা বেসরকারি চাকরিজীবী, তাদের পুরো বেতন (মূল + ভাতা) করযোগ্য হতে পারে, এবং তারা বেশি কর দিচ্ছেন।
- রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগ: যদি ভাতা-ভাগও করোপেক্ষা করা হয়, তাহলে সরকার অনেক বেশি কর আদায় করতে পারতো, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
- নীতি পরিবর্তনের দিক: নতুন নির্দেশনা (CGA) একটি ধাপে পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে যাতে কিছু সরকারি কর্মচারীর ওপর উৎস কর কর্তন বাধ্যতামূলক করা হয় এবং আগামীতে আরও করোপেক্ষা উন্নয়ন হতে পারে।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply