1. lawyermanik@gmail.com : legalaidbd :
November 14, 2025, 1:47 pm

রিটার্ন জমা না দেওয়ার পাঁচ কারণ

  • Update Time : Monday, November 10, 2025
  • 54 Time View

আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ার (Income Tax Return Non-filing) পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক বা কাঠামোগত। নিচে ৫টি প্রধান কারণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

১.আয়কর সম্পর্কে সচেতনতার অভাব:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

অনেক নাগরিক এখনো জানেন না কারা রিটার্ন দাখিলের আওতায় পড়েন, কীভাবে দাখিল করতে হয় বা রিটার্ন না দিলে কী ধরনের আইনি ঝুঁকি তৈরি হয়।
মূল কারণগুলো:

  • গ্রামীণ ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত জনগণের কর শিক্ষা না থাকা।
  • আয়কর আইন বা এনবিআর (NBR) নির্দেশিকা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য ভাষায় প্রচার না হওয়া।
  • রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া জটিল মনে হওয়া।

২.নিম্ন আয়ের কারণে করযোগ্য আয়ের বাইরে থাকা:

বাংলাদেশে আয়কর দিতে হয় নির্দিষ্ট সীমার উপরে আয়ের ক্ষেত্রে (যেমন ২০২4–25 অর্থবছরে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা ছিল ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত)।
ফলে:

  • অনেক মানুষ মনে করেন তাদের আয় কম, তাই রিটার্ন দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
  • কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাংক, পাসপোর্ট, টেন্ডার, গাড়ি নিবন্ধন ইত্যাদির জন্য “Taxpayer’s Identification Number (TIN)” থাকলেও রিটার্ন জমা দিতে হয়, যা অনেকেই জানেন না।

৩.কর প্রশাসনের জটিলতা হয়রানির ভয়:

অনেক সম্ভাব্য করদাতা মনে করেন ট্যাক্স অফিসে গেলে ঝামেলা বা হয়রানির শিকার হতে পারেন।
ফলাফল:

  • ইচ্ছা থাকলেও রিটার্ন জমা না দেওয়া।
  • দালালের মাধ্যমে বা ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা।
    কারণ:
  • ডিজিটাল সেবা এখনো সব জায়গায় পুরোপুরি সহজ নয়।
  • কর অফিসে ব্যক্তিগত যোগাযোগ নির্ভরতা বেশি।

৪.কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা:

কিছু ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে রিটার্ন জমা দেন না, যাতে তাদের প্রকৃত আয় গোপন থাকে।
কারণ:

  • করের হার বেশি মনে হওয়া।
  • নগদ লেনদেন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসা বেশি হওয়ায় আয় গোপন করা সহজ।
  • কর প্রশাসনে স্বচ্ছতার ঘাটতি।

৫. প্রণোদনা বা বাস্তব প্রয়োগের অভাব:

রিটার্ন না দিলে অনেক সময় আইনগত ব্যবস্থা তেমন কার্যকরভাবে প্রয়োগ হয় না।
ফলে:

  • নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হন।
  • নতুন করদাতা তৈরি হয় না।
    সমাধান হতে পারে:
  • রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্য প্রণোদনা (যেমন ব্যাংক সুবিধা, সরকারি সেবা, টেন্ডার সুযোগ)।
  • আইন অনুযায়ী জরিমানা বা সেবা-বঞ্চনা বাস্তবায়ন।

সংক্ষেপে:

ক্র. নংকারণপ্রভাব
কর সম্পর্কে অজ্ঞতাকরদাতা সংখ্যা বাড়ে না
নিম্ন আয়রিটার্ন বাধ্যতামূলক হলেও অনেকে বাদ পড়েন
জটিল প্রক্রিয়া ও হয়রানি ভয়কর ফাইলিং নিরুৎসাহিত
কর ফাঁকি প্রবণতারাজস্ব ক্ষতি
প্রয়োগ ও প্রণোদনার অভাবকর সংস্কৃতি দুর্বল
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 LegalAidBD
Theme Customized By BreakingNews