Bangladesh‑এর সরকারের ৩৭ জন (বা ৩৮ জন) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত বিস্তারিত জানানো হলো:

 ঘটনা সংক্ষেপ:

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

• একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৭ জন “বয়স্ক” বন্দি ও ১ জন যুব অপরাধীকে সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
• বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বন্দিরা “হাইডেন ক্রিমিনাল” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ নয়। মুক্তি দেওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২২ জনই ৬০ থেকে ৯০ বছর বয়সী।
• মুক্তি কার্যকর হবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে সরকারি আদেশ পৌঁছার পর।

• প্রাসঙ্গিক আইন ও বিধান:

• Jail Code-এর Rule 569 অনুসারে, রিগারাস বা জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা ক ciertas শর্তে ১৪ বা ২০ বছর কারাদণ্ড (মোবিলিটি অবস্থা ও কারবারের ধরন অনুসারে) পর রেহাই বা মুক্তি জন্য আবেদন করতে পারে।
• Code of Criminal Procedure, 1898 (বাংলাদেশ) এর Section 401(1) অনুসারে সরকারের কাছে সাজা মওকুফ করার ক্ষমতা রয়েছে।
• আইন অনুসারে, বাংলাদেশে “জীবন কারাদণ্ড” সাধারণত ৩০ বছরের হিসেবে গণ্য করা হয়।

 কী কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে:

• অনেক বন্দি দীর্ঘ সময় কারাগারে সম্পন্ন করেছেন  বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ অবস্থায় আছেন। সরকার কারাগার ব্যবস্থাপনায় “বয়স্ক বন্দি”দের অবস্থার কারণে এবং পুনর্বাসন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এক দৃষ্টিতে করুণামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এই বন্দিদের মধ্যে কঠোর অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।

যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন এমন ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কারা অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

https://af54429d2cad98a68e0e23b66d45fbf4.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-45/html/container.html স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দিদের তালিকা অনুমোদন করেছে। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয় বলে কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

কারা অধিদফতর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দিদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। তাদের সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।

কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দির নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও ৭ বা ৬ বছর সবই মওকুফ করে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’

কারা অধিদফতর জানায়, তালিকায় কোনও নারী বন্দি নেই, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দি হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তারা সাজা ভোগ করছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দিদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দির অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী