National Board of Revenue (NBR)-এর দেওয়া সর্বশেষ তথ্যের আলোকে “রিটার্ন জমা দেওয়া হয়নি বেশিরভাগ টিআইএন-ধারীর” বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

 মূল পরিসংখ্যান:-

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী

• বর্তমানে প্রায় ১.০৪ কোটি (10.4 মিলিয়ন) টিআইএন-ধারী রয়েছেন।
• কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাত্র ~৪৩ লক্ষ (4.3 মিলিয়ন) রিটার্ন জমা হয়েছে।
• অর্থাৎ মোট টিআইএন-ধারীর প্রায় ৫৯ % রিটার্ন জমা দেননি। কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে অবস্থা আরও খারাপ: রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রেশনের তথ্যমতে ~২.৮৮ লাখ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ~২৪,৩৮১টি কোম্পানি রিটার্ন দিয়েছে (~৮.৪৫ %)।
• এছাড়া FY25-এ National Board of Revenue একটি গ্যাপ এনালাইসিসে জানিয়েছে, ~৫.৩ মিলিয়ন (53 লক্ষ) টিআইএন-ধারী রিটার্ন দেননি এবং এসবের মধ্যে মাত্র ~১৩ লক্ষের ক্ষেত্রে ফাইল খোলা হয়েছে।

মূল কারণগুলো:

NBR-র বিশ্লেষণ অনুযায়ী যারা রিটার্ন দেননি, তাদের ক্ষেত্রে প্রধান কারণগুলো হল:-

• অনেকেই টিআইএন নিয়েছিলেন শুধুই নির্দিষ্ট সফলতা বা কাজের জন্য (যেমন: ভূমি বিক্রয়, সেবা গ্রহণ) কিন্তু নিয়মিত আয় বা রিটার্ন দায়বদ্ধতা ছিল না।
• ছোট ব্যবসায়ী বা লাইজেন্সপ্রাপ্ত ট্রেডার যারা হয়তো এখন আর চালু নেই, তবুও টিআইএন আছে।
• করদাতাদের মধ্যে সচেতনতা কম; এবং রিটার্ন না দেওয়ার ফলে কোনো তৎক্ষণাৎ বাধা বা পরিণতি অনুভব করছেন না অনেকেই।
• তথ্য-ডাটাবেসে অনেয়ার্ক্য “ডেড”, “অ্যাক্টিভ নয়”, বা বিদেশে গিয়েছেন এমন টিআইএন-ধারীর সংখ্যা রয়েছে।

NBR-র করা পদক্ষেপ:

• NBR বলছে, যারা রিটার্ন দিচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়া হবে এবং মাঠ কর্মকর্তা-পর্যায়ে অনুসরণ শুরু হয়েছে।
• রিটার্ন জমার প্রমাণ (Proof of Submission of Return – PSR) এখন বেশ কিছু সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
• “স্পট অ্যাসেসমেন্ট” কার্যক্রম চালু হয়েছে যাতে রিটার্ন না দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত চিহ্নিত ও অনুসন্ধান করা যায়।

কী করণীয় আপনার জন্য:

• যদি আপনার টিআইএন ( TIN ) আছে, তাহলে নিয়মিত রিটার্ন দেওয়া জরুরি, যদিও আয় খুব কমও হোক।
• রিটার্ন না দিলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সেবা (ব্যাংক লোন, লিজেন্স, ইত্যাদি) প্রদানে সমস্যা হতে পারে কারণ রিটার্ন জমা দিয়েই সেই সেবা নেওয়ার বাধ্যতামূলক শর্ত হতে পারে।
• যদি টিআইএন নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন আর ব্যবসা বা আয় নেই, তাহলে সংশ্লিষ্ট রিটান দিয়ে “নো আয়” বা “জিরো রিটার্ন” হিসেবে ফাইল করা উচিত।
• রিটার্ন দিতে অনলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করুন  এটি দ্রুত ও সহজ।
• যদি তথ্য আপডেট করতে হয় (যেমন: বিদেশে আছেন, কোম্পানি বন্ধ হয়েছে), তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত

কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী