“২০২৫–২৬ (FY26)” অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৪.৮ % প্রবৃদ্ধি হবে এই সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্ক বিশ্ব (World Bank) “Bangladesh Development Update” রিপোর্টে এসেছে। নিচে বিস্তারিত বিশ্লেষণ দেওয়া হলো অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ:
ভিত্তি ও ধারণা কেন ৪.৮ % হিসেবে অনুমান:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
World Bank যেসব কারণ ও মান ধরে এই অনুমান করেছে, সেগুলো হলো:
- মার্কেট রিকভারি ও রূপান্তর
FY25-এর প্রথম ভাগে অর্থনীতি ধро্নাতমিছিলের মধ্যে ছিল, তবে দ্বিতীয় অর্ধে রিকভারি দেখা দিয়েছে রফতানি বৃদ্ধি, বৈদেশিক রিজার্ভ কিছুটা সুরক্ষিত হওয়া, এবং রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যাহত থাকা তার অংশ।
- মুদ্রানীতি ও নীতি কঠোরতা
মুদ্রানীতি কড়াকড়ি রাখা, মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ও বৈদেশিক ঋণ ও মুদ্রানীতি সংশ্লিষ্ট চাপে নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রচলিত মনোভাব রিপোর্টে ধরা হয়েছে।
- বাহ্যিক প্রবাহ ও শুল্ক চাহিদা
রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে পারে বিশেষ করে যদি বৈশ্বিক চাহিদা কিছুটা টিকিয়ে রাখতে পারে। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও পুঁজির আহ্বান তথা বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (FDI) কিছুটা বাড়তে পারে।
- আভ্যন্তরীণ সংস্কার ও সরকারের ভূমিকা
অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, গুণগত খাতগুলোর সংস্কার (যেমন কর প্রশাসন, ব্যাংক খাত ভারসাম্য, সরকারি খরচ ব্যবস্থাপনা) এবং বিপাকিক কাঠামোর সংস্কার এই অনুমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- ঝুঁকি–ফ্যাক্টর ও রূপান্তরযোগ্যতা
রাজনীতি অস্থিতিশীলতা, বিনিয়োগহ্রাস, ব্যাংক খাত দুর্বলতা, আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিরতা এই সব ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে “মধ্যম পন্থা” অনুমান ৪.৮ %।
সুযোগ ও সহায়ক বিষয়সমূহ:
- যদি বিশ্ববাজারে চাহিদা ফিরিয়ে নেয়া যায়, বিশেষ করে পোশাক ও তৈরি পণ্যে, তাহলে রফতানি প্রবৃদ্ধি সহায়ক হবে।
- রূপান্তরমূলক কাঠামোগত সংস্কার (কর সংস্কার, ব্যাংক খাত স্বাস্থ্য, সরকারি খরচ পুনর্বিন্যাস) যদি দ্রুত কার্যকর করা যায়, তা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উচ্চ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে পারে।
- বৈদেশিক সাহায্য, ঋণ ও বিনিয়োগ যদি সময়মত আসে ও রিজার্ভ দুর্বলতা মোকাবিলা করতে সহায়ক হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক চাপে কিছুটা শিথিলতা পাওয়া যেতে পারে।
- কৃষি, উৎপাদনশীল খাত ও মাঝারি ও ছোট উদ্যোগগুলোর উন্নয়ন অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি:
- রাজনৈতিক অস্থিরতা নির্বাচনকালীন উত্তেজনা, নীতি পরিবর্তন সংকেত ও অবনিয়ন্ত্রণ বিনিয়োগকারীদের সংশয়ে ফেলতে পারে।
- বিনিয়োগ সংকোচন অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগ ঠিক মতো না বাড়লে প্রবৃদ্ধি সীমিত হবে।
- বিচ্যুত মুদ্রাস্ফীতি ও ঋণ সঙ্কট স্বল্পমেয়াদী মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ থাকলে ভোক্তা ক্রয়ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হবে। এছাড়া, রাষ্ট্র ও বেসরকারি খাতের ঋণ সঙ্কট হলে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাঁধাগ্রস্ত হবে।
- বৈশ্বিক মন্দা ও চাহিদা হ্রাস যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধি বিদেশি চাহিদার উপর অনেকাংশে নির্ভর, বৈশ্বিক মন্দা বা চাহিদা সংকোচন হলে রফতানি সেক্টরে মার আসতে পারে।
- পরিবর্তনশীল কৃষি ও প্রকৃতি ঝুঁকি বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি বেশি ঘটে, তাহলে খাবার উৎপাদন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
- বাজেট ও রাজস্ব ঘাটতি বাজেটজনিত সীমাবদ্ধতা ও কর রাজস্ব একত্রিত না হলে অর্থায়নে সমস্যা হবে।
তুলনামূলক অনুমান ও বাস্তবতা:
- IMF ২০২৫–২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫ % অনুমান করেছিল।
- তবে পরে IMF আরও সংবেদনশীলতা বিবেচনায় এনে অনুমান কমিয়ে দিয়েছে ৫.৪ % পর্যন্ত। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) FY26-এ ৫.১ % প্রবৃদ্ধি অনুমান করেছে। বিশ্বব্যাংক তুলনামূলকভাবে রোস্টনপন্থী ও উদ্যমী নয়; তাই তার ৪.৮ % অনুমান “মডেস্ট পুনরুদ্ধার” ধাঁচের একটি রূপ।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply