আমরা ঋণের ফাঁদে পড়ে গেছি:
৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের National Economic Council (NEC) আয়োজিত সেমিনারে সাবধানবাণী দিতে গিয়ে Abdur Rahman Khan বলেছেন:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
“আমরা ইতিমধ্যেই ঋণের ফাঁদে পড়েছি; এ সত্য স্বীকার না করলে সামনে এগোনো সম্ভব নয়।” তার মতে, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন যে, ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও বাজেট ব্যবস্থাপনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন যে, আগে কর-জিডিপি অনুপাত (tax-to-GDP ratio) ছিল ১০%–এরও বেশি, কিন্তু এখন তা প্রায় ৭%–র দিকে এসেছে। এটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্র থেকে কর আদায় করা সম্ভব হচ্ছেনা — যার কারণ গঠনমূলক ত্রুটি আছে। পাশাপাশি করেছেন আহ্বান: রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজস্ব নীতি, কর নীতি, বাজেট ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
কেন তিনি এমন বললেন:
বাংলাদেশের রাজস্ব সংগ্রহ এবং কর-জিডিপি অনুপাত নষ্ট হওয়া: কর রাজস্ব বাড়াতে না পারা বা বিভিন্ন খাত থেকে কর সংগ্রহ করতে না পারা।
- বাজেটে ব্যয় বাড়ার পেছনে ব্যয়-সহ সুদ পরিশোধের বোঝা
- অর্থাৎ, উন্নয়ন বা সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমে যায়, ঋণের সুদ পরিশোধ প্রাধান্য পায়।
- নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের একাধিক সতর্কবার্তা: যদি সময়মতো প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আর্থিক শৃঙ্খলা না আনা যায়, তবে ঋণের বোঝা মারাত্মক মাত্রায় বাড়তে পারে।
- অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বাজেট ব্যয়, সুদ পরিশোধ, রাজস্ব আদায় সবকিছু যদি সঠিক ভারসাম্যে না হয়, দেশ ঋণের ফাঁদে আটকে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
- এটি একটি সতর্ক সংকেত: যে দেশ কর ভিত্তি সম্প্রসারিত না করতে পারে, ন্যায্য কর আদায় করতে না পারে, তার জন্য ঋণ-নির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে সুফল দেবে না।
- কর নীতি ও রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে: কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, করছাড়–নীতি পর্যালোচনা, কর দাতার সংখ্যা বাড়ানো, কর পরিশোধ নিশ্চিত করা।
- বাজেট পরিকল্পনা ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা: সুদ পরিশোধ গ্রাস করছে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক খাতের জন্য বরাদ্দ কমলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ঝুঁকিতে।
- আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা, এবং রাজস্ব প্রশাসনের সংস্কার জরুরি।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Leave a Reply