রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে কী বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান
-
Update Time :
Monday, December 8, 2025
-
43 Time View
National Board of Revenue (এনবিআর) চেয়ারম্যান Md Abdur Rahman Khan কী বলেছেন ও তিনি রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে কী পরিকল্পনা রাখছেন, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
রাজস্ব সংগ্রহ, দক্ষতা ও গভার্ন্যান্স:
- তিনি বলেছেন, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো এবং কাস্টমস কার্যক্রমে কার্যদক্ষতা (operational efficiency) বাড়ানো জরুরি। এর জন্য – দ্রুত কার্গো ক্লিয়ারেন্স, ঝুঁকি-ভিত্তিক ম্যানেজমেন্ট, বাস্তবায়ন-নিয়ম মজবুত করা, অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম) প্রসার এবং ট্যাক্সপেয়ার ও ভ্যাটদাতাদের নিবন্ধন বাড়াতে হবে।
- তিনি বলছেন, শুধু রাজস্ব সংগ্রহ নয়; ট্যাক্স নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও গভার্ন্যান্স নিশ্চিত করাটাও অত্যাবশ্যক। ফলে রাজস্ব প্রশাসনকে প্রযুক্তিনির্ভর (digital) ও ব্যবসা-বান্ধব (business-friendly) করা হচ্ছে।
যে সংস্কার-প্রচেষ্টা (Reform) তিনি এগিয়ে নিয়েছেন
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- এনবিআরের কাঠামোগত (institutional) সংস্কার: সম্প্রতি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়েছে ‘রাজস্ব নীতি’ (policy) এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ (management) নামে। অর্থাৎ, কর নীতি নির্ধারণ ও কর সংগ্রহ/বাস্তবায়ন এখন আলাদা বিভাগে হবে।
- এর ফলে নীতি-প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন উভয়েই স্বচ্ছতা বাড়বে, প্রশাসনিক এবং কার্যনির্বাহী বিভাগের মধ্যে দ্বৈরথ (conflict of interest) কম হবে বলে দেখানো হয়েছে।
- পাশাপাশি চেয়েছেন কর ব্যবস্থা ডিজিটাল, অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় হবে যাতে ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীকে কম কাগজপত্র ও হস্তক্ষেপরোধ করতে সক্ষম হওয়া যায়। এভাবে, করদাতার জন্য করব্যবস্থা সহজ হবে এবং একই সঙ্গে দুর্নীতি ও হয়রানি কমবে।
-
- কর প্রশাসন, বৈষম্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ:
- চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন যে কর প্রশাসনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বড় বাধা। এজন্য সুষ্ঠু গভার্ন্যান্স, দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা জরুরি। তিনি বলেছেন, কর ছাড় (tax exemption) আর সরকারের অনিচ্ছামাত্রিক ছাড় (arbitrary exemptions) আরও সীমাবদ্ধ করার প্রয়োজন অর্থাৎ, কর ছাড় পেতে হলে শুধু পার্লামেন্ট (অন্যান্য মধ্যস্থানে নয়) সিদ্ধান্ত নেবে। এতে রাজস্ব ক্ষতি কম হবে।
- তিনি বাজেট ২০২৫-২৬ প্রাক-আলোচনায় জানিয়েছিলেন, আগামী বাজেটে নন-ট্যারিফ বাধা (non-tariff barriers) কমিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য পরিবেশ বান্ধব করা হবে। এর ফলে করদায়িত্ব ও আয় দুটোই বাড়ানোর চেষ্ঠা থাকবে।
-
- বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগ:
- যাইহোক, এই সংস্কার ও বিভাজনের উদ্যোগকে ঘিরে এনবিআরের কর্মকর্তা বা অফিস-স্টাফদের মধ্যে আপত্তি ও উদ্বেগ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, প্রশাসনিক (অ্যাডমিন) ক্যাডারের আধিপত্য বাড়বে, আর ট্যাক্স/কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কাজ ও ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় মিস হয়েছে: তারা ~Tk 3.61 লাখ কোটি সংগ্রহ করেছে, যা পূর্বাভাসিত ~Tk 4.80 লাখ কোটি থেকে অনেক কম। এতে বোঝা যাচ্ছে সংকট, কর্মবিরতি ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা রাজস্ব সংগ্রহে প্রভাব ফেলেছে।
- সেই সঙ্গে, অফিস-কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি অস্থিরতার কারণে (প্রতিবাদ, ধর্মঘট, অনুগত কর্মীদের আস্থা কমা ইত্যাদি) রূপায়ণ প্রক্রিয়া ঝুঁকিতে পড়েছে।
-
- সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গা: লক্ষ্য আর অঙ্গীকার:
- এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মুখ্য লক্ষ্য হলো কর প্রশাসনকে আধুনিক, স্বচ্ছ, প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যবসা-বান্ধব করা।
- তিনি বিশ্বাস করেন, কর নীতি ও প্রশাসন আলাদা হলে, করদাতাদের প্রতি হয়রানি কমবে, কর পরিপালন সহজ হবে এবং করের আয় বাড়বে।
- তবে, সফলভাবে তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে শুধু অধ্যাদেশ বা কাঠামোগত পরিবর্তনই নয় প্রশাসনিক সংস্কার, গভার্ন্যান্স, করদাতাদের আস্থা, কর আইন ও নিয়মের ধারাবাহিক সংস্কার, এবং রাজনীতি-চাকরি-স্থানিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply