কর নথিতে বিদেশে থাকা বাড়ি-গাড়ি দেখাননি কেউই
-
Update Time :
Monday, December 1, 2025
-
54 Time View
“কর নথিতে বিদেশে থাকা বাড়ি-গাড়ি দেখানো হয়নি” এবং এর প্রেক্ষাপট ও আইনগত দিকগুলো:
বিদেশি সম্পদ দেখানো হয়নি:
- সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অফিসিয়াল কর নথিতে অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের National Board of Revenue (NBR)-কে দৈনিক/বার্ষিক ইনকাম ওয়েলথ রিটার্ন দিচ্ছেন কেউই তাদের বিদেশে থাকা বাড়ি, গাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ “প্রদর্শন” করেনি।
- যদিও আইনগত ও নিয়মগতভাবে (কিছু নতুন সংস্কার ও আইন সংশোধনের পর) বিদেশি সম্পদও নথিভুক্ত করাতে বলা হয়েছে, তবুও বাস্তবে কেউ তা করেনি।
প্রাসঙ্গিক আইন ও নিয়ম:
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
- ২০২২ সালের জুলাইয়ে, আয়কর আইন (ধারা-২১) সংশোধন করে নথিভুক্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশে থাকা সম্পদও কর রিটার্নে দেখানোর বাধ্যবাধকতা আনা হয়।
- সাম্প্রতিক (২০২৫) নির্দেশনায়, কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির করদাতাদের যেমন যারা বিদেশে সম্পদ রাখে তাদের জন্য অ্যাসেট স্টেটমেন্ট (asset statement) দাখিল বাধ্যত চিকিৎসা করা হয়েছে।
- শুধুই বাড়ি–গাড়ি নয়; যদি বিদেশে কোনো ডিপোজিট, ব্যাংক ব্যালান্স, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বা অন্য কোনো সম্পদ থাকে, সেটাও উল্লেখ করতে হবে।
কেন দেখা যায়নি কর নথিতে:
সেখানে কয়েকটা কারণ/ trends গুলোর কারণে:
- যাদের বিদেশে সম্পদ রয়েছে, তারা “দ্বৈত কর (dual tax)” বা একই সম্পত্তির ওপর দেশে ও বিদেশে কর দিতে হতে পারে এজন্য অনেকে “দেখানো ভালো নয়” মনে করেন।
- অনেকেই এমন সম্পত্তি পেয়েছেন “বিদেশে পাচার করা অর্থ” যা দেখালে আইনগত বা দণ্ড-বিধির ঝুঁকি বাড়তে পারে (উদাহরণ: তদন্ত, জিজ্ঞাসাবি, প্রমাণ চাওয়া ইত্যাদি)। তাই তারা জান-বহির্ভূত রাখতে চান।
- আইনগত পরিবর্তন হলেও বাস্তবায়ন হয় নি: তথ্য শেয়ারিং বা তদন্ত ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত নয়, ফলে অনেকেই ভীষণ সম্ভবনা না দেখেই “না দেখানো” সিদ্ধান্ত নেন।
আইনগত জটিলতা ও ঝুঁকি:
- যদি কারো বিদেশে সম্পদ থাকে এবং তা কর রিটার্নে দেখাতে না হয়, কিন্তু পরে সেটি ধরা পড়ে তখন নতুন আইন অনুসারে জরিমানার (অভিযোগ, প্রাপ্য ট্যাক্সসহ) এবং শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তথ্যে গোপন থাকলে, ও আইন অনুযায়ী তথ্য না দেখালে সেই রিটার্ন বা সম্পদ “অপ্রদর্শিত সম্পদ” হিসেবে দায়িত্বে পড়তে।
- এ ছাড়া, এমন লুকানো সম্পদের তথ্য প্রমাণিকরণের ক্ষেত্রে বিদেশি কনভেনশন বা তথ্য-শেয়ারিং না থাকলে প্রমাণ সংগ্রহ, তদন্ত, সম্পদ রূপান্তর/ফেরত আনার কাজ কঠিন হয়; এতে আইন প্রয়োগ বা শাস্তি ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে না বলেও অর্থনীতিবিদরা মন্তব্য করেছেন।
কেন এত জটিলতা, বাস্তবায়ন না:
- যদিও আইনগত দিক থেকে বিদেশি সম্পদ দেখানোর সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বহু করদাতা বিশেষ করে ক্ষমতাপর্যায়ে থাকা ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা সচেতনভাবে নয় দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
- জীবনে এবং রাজনীতিতে প্রভাব, ক্ষমতা ও আত্মরক্ষার জন্য তারা ঝুঁকি নিতে চান না। ফলে, কর নথিতে “শূন্য” হিসেবে দেখানো হয়।
- অন্যদিকে, সরকারের জন্যও তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান কার্যকর করার সুযোগ কিন্তু সীমিত: কারণ আন্তর্জাতিক তথ্য-শেয়ারিং, ট্র্যাকিং মেকানিজম এখনও সবদিক দিয়েই শক্ত নয়।
নির্ভুল আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে NBR তালিকাভুক্ত
কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন। মানিক দাস, কর আইনজীবী
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply