“চার মাসে রাজস্ব আদায়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি” সংক্রান্ত বিস্তারিত বিষয় কারণ, প্রভাব ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:
রাজস্ব ঘাটতির সারসংক্ষেপ ও কারণসমূহ:
সংখ্যাগত চিত্র:
এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস (জুলাই–অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩৬,৬৯৭ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৯,৪৭৮ কোটি টাকা, ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭,২১৯ কোটি টাকা।
ঘাটতির গড় শতকরা হার চার মাসে প্রায় ১২.৬০ %।
প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও ঘাটতি:
চার মাসে রাজস্ব আদায় বছরে আগের সময়ের তুলনায় ১৫.৫৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থাৎ আদায় বাড়লেও, লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি ধার্য করা ছিল, এবং সেটি পূরণ করা যাচ্ছে না।
আপেক্ষিক অবদান :
আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে (কাস্টমস) চার মাসে আদায় করা হয়েছে ৩৪,৭৫১ কোটি টাকা।
স্থানীয় মূসক / ভ্যাট খাত থেকে আদায় হয়েছে ৪৬,৮৭৮ কোটি টাকা।
আয়কর (এবং ভ্রমণ কর) থেকে আদায় হয়েছে ৩৭,৮৪৯ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ ঘাটতি খাত:
সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে চার মাসে প্রায় ৯,১৯৪ কোটি টাকা ।
কাস্টমস খাতে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৬,৭৫৬ কোটি টাকা।
ভ্যাট (মূসক) ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে, চার মাসে প্রায় ১,২৬৯ কোটি টাকা।
সম্ভাব্য কারণ এবং চ্যালেঞ্জ:
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ধীর গতি থাকায় কর আদায় কমেছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, কর পরিপালন এবং করদাতাদের প্রবেশ (tax base expansion) বাড়াতে কাজ চলছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।
কিছু গোয়ান সিদ্ধান্ত ও বাজেট পরিকল্পনায় চাপ আছে: এ বছরের জন্য এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ৰ লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রভাব ও ঝুঁকি:
এত বড় ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নে চাপে ফেলতে পারে, বিশেষ করে উন্নয়ন কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ কমতে পারে।
ধারাবাহিক ঘাটতি সরকারের ঋণ নির্ভরতা বাড়াতে পারে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এটি ঝুঁকি তৈরি করে।
এনবিআরের উপর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তারা লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে পারছে না।
Leave a Reply