২০২৪ সালের ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন। শিক্ষা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র শিক্ষাভবনে জুলাই আন্দোলনবিরোধী একটি মিছিল বের করেন শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তা। যে মিছিল থেকে চলছে লড়াই চলবে, শেখ হাসিনা লড়বে’এবং শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা কেন, খুনি খালেদা জবাব দে, এমন নানা স্লোগান দেওয়া হয়। ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও নজিরবিহীন এই মিছিল এ অংশ নেওয়ায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার রিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
যার অংশ হিসাবে এরই মধ্যে ২১ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আলোচিত সেই মিছিলে আয়োজনের নেপথ্যে থাকা কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে। জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবের ১০ মাস পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো: আবু কাইয়ুম শিশির ওই স্লোগান দাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে জবানবন্দি এবং ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আরও ২০-২২ জন ক্যাডার কর্মকর্তাকে ডাকা হতে পারে শুনানির জন্য।
কাইয়ুম শিশির মিছিলে নেতৃত্বে দেওয়ায় ডিআইএর ১৬ জনকে শোকজ করেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ না করে শোকজের ফাইল গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই দপ্তরের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘এ যুগের রাজাকার ’ বলে উল্লেখ করেন করে মন্তব্য করেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ঘোষনার পরই ৩ আগস্ট সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর ৪ আগস্ট শিক্ষাভবনে বিক্ষোভ করেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। চলছে লড়াই চলবে, শেখ হাসিনা লড়বে’ এবং শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা কেন, খুনি খালেদা জবাব দে, এমন নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এসব স্লোগান শুধু রাজনৈতিক নেতারা দিতে পারবেন শুধু।
প্রথম ধাপে ২১ জন ক্যাডারকে কর্মকর্তাকে ডাকা হয়েছিল। তারা কেন মিছিলে অংশ নেয়, নেপথ্যে কারা ছিল তা জানতে চেয়েছি। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা বক্তব্য পেশ করেন। সেই সুত্র ধরে আরও ২০-২২ জনকে ডাকা হবে। তাদের বিরুদ্ধে বিপ্লববিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার সুপারিশ করা হবে।
Leave a Reply