হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্টার বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য প্রতিষ্টিত হয়েছে বলে জানান ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই-২০২৫) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো: এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম, ড. আয়ুব মিয়া, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, রাজধানীতে সুপ্রিম র্কোটের স্থায়ী আসন থাকবে। রাষ্ঠ্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান বিচারপ্রতি সময়ে সময়ে যে সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্টা করতে পারতেন তার পরিবর্তে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টেও স্থায়ী আসন থাকবে এবং একের অধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে। এ বিষয়ে সুষ্পষ্ঠভাবে সংবিধানের ১০০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিবর্তন হবে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনে ক্ষমতার লাগাম:
রাষ্ঠ্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, বিগত সময়ে রাষ্ঠ্রপতি ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো- ‘কোনো আদালত’ ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তপক্ষ প্রদত্ত যে কোন মঞ্জুর করিবার এবং যে কোন দন্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ঠ্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্ধারা নিধারিত মানদন্ড, ও নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হইবে।
অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে ঐক্যমত্যে কমিশন থেকে দেওয়া প্রস্তাবের আলোকে যে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য তৈরি করা হয়েছে তা ভবিষ্যতে সংবিধানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতদিন ধরে তা এই ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি সহ প্রায় ২৫ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেখানে অংশগ্রহণ করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ জুলাই পুনরায় আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
Leave a Reply